বিএনপির কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামলা ও নাশকতার বিভিন্ন মামলায় দেশের বিভিন্ন জেলার ৪৫২ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী রয়েছেন।
বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার তাদের জামিন দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুর রহমান, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মাহবুবুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে ঝিনাইদহ, ফেনী, ঠাকুরগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর ও কুমিল্লা জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ২১৭ জন, ফরিদপুরের ৮৫, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ৩৫, কিশোরগঞ্জের সদর, পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী থানার ১১৫ জন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভুঁইয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম মান্নান, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনসারুল হক, সোনারগাঁওয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদ এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে বিএনপি।
ওইসব কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়। সেসব মামলায় আগাম জামিন নিতে আসামিরা সোমবার হাইকোর্টে আসেন।