সরকারি বিজ্ঞান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আলী হোসেনকে চাপা দেয়া মাইক্রোবাসটিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের স্টিকার লাগানো ছিল। তবে এটি সরকারি গাড়ি নয়। ধারণা করা হচ্ছে, সংস্থাটির এক কর্মকর্তা এটি ব্যবহার করেন।
তবে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলছেন, গাড়িটি আসলেই রাজস্ব কর্মকর্তার কি না সেটি তদন্ত হচ্ছে।
এ ঘটনায় চালক জিয়াউলকে সাভারের আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে মহাখালীর দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস ছেলেটিকে ধাক্কা দেয়। মাথায় আঘাত পেয়ে ছেলেটি রাস্তায় ছিটকে পড়ে। এরপর গাড়ি দ্রুত চলে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাড়িতে রাজস্ব বোর্ডের স্টিকার লাগানো ছিল। গাড়িটি এক রাজস্ব কর্মকর্তার। এটা রাজস্ব বোর্ডে ব্যবহার হতো।’
তবে এনবিআরের কোন কর্মকর্তার গাড়ি সেটি জানাতে পারেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চালককে গ্রেপ্তারের পরে সোমবার বিকেলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সেখানে উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার ৩৭টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেখানে একটি ফুটেজ দেখে ওই গাড়ি শনাক্ত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলের পাশে দায়িত্বে থাকা একজন ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছি।’
আজিমুল হক বলেন, ‘ফুটেজে দেখা যায়, গাড়িটি স্বাভাবিক গতিতে মহাখালীর দিক থেকে তেজগাঁওয়ের দিকে আসছে। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ একটা শব্দ শুনতে পান এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য।’
ওই পুলিশ সদস্যের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দুর্ঘটনার পর একটি গাড়ি খুব দ্রুতগতিতে চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর চালক তার মুঠোফোন বন্ধ করে আশুলিয়ায় গিয়ে আত্মগোপন করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আজিমুল হক বলেন, ‘চালকের গাড়ি চালানোর কাগজপত্র রয়েছে। তবে সেগুলো সঠিক কি না যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।’
জব্দ করা মাইক্রোবাসটিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লেখা স্টিকার ছিল। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিসি আজিমুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অনেকেই সাংবাদিক বা পুলিশ না হয়েও সাংবাদিক বা পুলিশ লেখা স্টিকার গাড়িতে ব্যবহার করেন। আমরা তদন্ত করে দেখব মাইক্রোবাসের মালিক আসলে কে।
‘কারণ গ্রেপ্তার চালক জিয়া একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছি। সেটা সঠিক কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।’