বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের ইতিহাসের বড় অধ্যায়জুড়ে আছেন সাজেদা চৌধুরী: কাদের

  •    
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৫৪

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন, সে সময় সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জিয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তার সুদৃঢ় অবস্থানের কারণে আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে রাজনীতি শুরু করতে পেরেছিলাম।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে তার মরদেহ সেখানে নেয়া হয়। বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ বেদিতে রাখা হয়।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো শেষে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। বাংলাদেশের ইতিহাসের বড় অধ্যায়জুড়ে সাজেদা চৌধুরী রয়েছেন। এর মধ্যে স্বাধীকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ছিল। রণাঙ্গনেও তিনি ছিলেন সৈনিক। প্রতিটি সংকটেই তিনি ছিলেন। অনেকেই জানেন না, তিনি কারাগারেও ছিলেন। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে সাজেদা চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। পঁচাত্তরের পর দলকে সংগঠিত করার জন্য তিনি কাজ করেছেন। ’৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দলের সভাপতি হয়েছেন, তখন সাজেদা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছায়ার মতো ছিলেন।

‘২০০৭-০৮ সালে যখন অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তখন নেত্রীর পাশে ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। আওয়ামী লীগের ইতিহাস তো বটেই, বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে হলেও সাজেদা চৌধুরীর নাম থাকবে। তার এই বিদায় আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। দেশ একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাকে হারাল।’

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, ‘সাজেদা চৌধুরী একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। ছয় দফা আন্দোলনে তিনি সাহসী ভূমিকা রেখেছেন।

‘জিয়াউর রহমান যখন বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছেন, সে সময় সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জিয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তার সুদৃঢ় অবস্থানের কারণে আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে রাজনীতি শুরু করতে পেরেছিলাম।’

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সাজেদা চৌধুরী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সামনের কাতারের নেত্রী। আজীবন তিনি আদর্শ অনুসরণ করে নিষ্ঠার সঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। ১৯৭৫-এর পর যখন বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেত না, সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে এগিয়ে নেয়ার সব সংগ্রাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর