নাটোরে বন্ধুকে হত্যার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়াও তাকে ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দীন সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতের উপস্থিত ছিল।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিন সদর উপজেলার চৌরী গ্রামের বাসিন্দা।
জজকোর্টের পিপি এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৮ সালের ৩১ আগষ্ট বিকেলে চৌরী গ্রামের সোহাগ বাড়ি থেকে বের হয়। পরে সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি পুকুরপাড় থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরদিন সোহাগের বাবা সদর থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার অনুসন্ধানে নেমে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারই বন্ধু জসিমের সংশ্লিষ্টতা পায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পুলিশ জসিমকে গ্রেপ্তারের পর জানতে পারে, সোহাগের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা ধার নিয়ে জুয়া খেলে হেরে যায় জসিম। পরবর্তী সময়ে পাওনা টাকার জন্য সোহাগ জোর করলে জসিম তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন কৌশলে সোহাগকে বাড়ি থেকে ডেকে পুকুরপাড়ের নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
গ্রেপ্তারের পর থেকেই জসিম কারাগারে ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক আকরামুল ইসলাম জসিম উদ্দিনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ ৪ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দীন অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।