ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি হাসান আল মামুনকে অব্যাহতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ঠিক ছিল। জামিনে থাকা মামুন আদালতে হাজির হন। তার পক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম (শামীম) আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন। তবে মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার কোনো আলামত না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেয় আদালত।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাবির এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা এবং মেসেঞ্জার গ্রুপে কুৎসা রটানোর অভিযোগ আনা হয়।
২০২১ সালের ৫ অক্টোবর নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেয় আদালত।
২০২১ সালের ১৭ জুন মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক আসলাম উদ্দিন মোল্লা।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে নুরসহ নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা এবং আবদুল্লাহ হিল বাকীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
একই বাদী ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় আরেকটি ধর্ষণ মামলা করেন। যেখানে নাজমুল হাসান সোহাগ ও ডিজিটাল অপরাধের অভিযোগে মামুনকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ১০ জুন অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
সেই মামলাতেও নুরসহ চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।