বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সন্তানকে মৃত দেখিয়ে ভাতা তোলেন মুক্তিযোদ্ধার বাবা

  •    
  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:২৮

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে কাগজপত্রে মৃত দেখিয়ে এককালীন ভাতা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে।

নিজের শতবর্ষী বাবার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন। তিনি নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তরফরাম ঘুনিপাড়া গ্রামের বদর উদ্দিন মিয়ার ছেলে।

আবুল হোসেনের অভিযোগ, দেশ স্বাধীনের পর দীর্ঘদিন দেশে না থাকার সুযোগে একটি মহল তার বাবাকে হাত করে ন্যক্কারজনক এমন কাজ করেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন আবুল হোসেন। দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মানে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি এখন ভাতাও চালু করেছে সরকার।

কিন্তু সরকারের সেই উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা উত্তোলন করছে একটি কুচক্রী মহল।

আবুল হোসেন জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুক্তিযোদ্ধ তালিকায়ও তার নাম রয়েছে। দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাকে থাকতে হয়েছে। চাকরি শেষে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদসহ সব কাগজপত্র মায়ের কাছে রেখে ভারতে চলে যান। দীর্ঘ বছর পর বাড়ি ফিরে তিনি চাকরি ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সব কাগজপত্রের খোঁজ করেন। কিন্তু বাড়ির লোকেরা এসব কাগজপত্র হারিয়ে গেছে বলে তাকে জানান।

পরে আবুল হোসেন জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন করে আসছেন তার বাবা বদর উদ্দিন।

বয়স ও স্ট্রোকজনিত কারণে বর্তমানে প্যারালাইসিস অবস্থায় বোনের বাড়িতে অবস্থান করছেন জানিয়ে আবুল হোসেন লিখেছেন, ‘শয্যাশায়ী হয়েও আমি এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। মানবেতর জীবনযাপন করছি।’

মৃত দেখিয়ে ভাতা উত্তোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে নিজ নামে ভাতা ইস্যু করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন।

শতবর্ষী বদর উদ্দিন বর্তমানে শ্রবণশক্তিহীন হওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আবুল হোসেন কয়েক দশক নিরুদ্দেশ থাকাবস্থায় বদর উদ্দিন সন্তানকে মৃত দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তুলতেন বলে স্বীকার করেছেন পুত্রবধূ শেফালী। আবুল হোসেন ফিরে আসার পর থেকে ভাতার টাকা তাকে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে শেফালী বলেন, ‘আমার ভাসুর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি এখন কোনো কিছুই মনে রাখতে পারেন না। এ কারণে তিনি হয়তো এমন অভিযোগ করেছেন।’

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর