সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বালুবোঝাই বলগেট ডুবে গেছে। এ ঘটনায় আবুল শিকদার নামে একজন নিখোঁজ হয়েছেন।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আবুল শিকদারের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার গ্রাবনিয়া গ্রামে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর আনসার আব্দুর রহমান বলেন, ‘পানি বাড়ছে, নদীর প্রবল স্রোতের কারণে বলগেটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। সেখানেই বলগেটটি ডুবে যায়। তিনজন সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। তারা জানান, বলগেটে আরও একজন ছিলেন। আমরা নৌ-পুলিশকে ফোন দিয়েছিলাম, তারা ফোন ধরছেন না।’
বলগেটের খলিলুর রহমান জানান, ‘আমরা সিরাজগঞ্জের হাজি সাত্তারের বালুমহাল থেকে বালু ভর্তি করে বলগেট নিয়ে মানিকগঞ্জের দিকে রওনা দিই। নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে পিলারে ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে বলগেটটি ডুবে যায়।
‘আমরা তিনজন পাড়ে উঠলেও একজন বলগেটের মধ্যে আটকা পড়েন। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম নৌ-ফাঁড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ওসি আতাউর রহমান ঘুমাচ্ছেন। ঘুম থেকে জেগে তিনি বলেন, ‘বলগেট ডুবেছে কি না সেটা আমরা দেখব। এ ব্যাপার না দেখে সাংবাদিকরা অন্য বিষয় দেখুক।’
এ সময় ওসি সাংবাদিকদের সঙ্গে আর কথা না বলে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন।
বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। ৭ নম্বর পিলারের সিসি ক্যামেরায় দেখি, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বলুভর্তি বলগেট ৯ নম্বর পিলারের কাছে গিয়ে আর বের হয়নি। তখনই বলগেটটি পিলারকে ধাক্কা দিয়ে তলিয়ে গেছে।
‘সেতুর নিচ দিয়ে ভারী বলগেট চলার নিয়ম আছে কি না আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বালুভর্তি বলগেট সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল বন্ধের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। এসব বিষয় দেখার দায়িত্ব নৌ-পুলিশের।’
টাঙ্গাইল নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার হারুনর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা অসুস্থ, তাই এ ধরনের কোনো ঘটনা আমি জানি না।’