বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগামী নির্বাচন দলগুলোর অস্তিত্বের লড়াই: জি এম কাদের

  •    
  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৪২

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন। সরকার নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে স্বাভাবিক নির্বাচন চায় না। সরকার ও তাদের কিছু মিত্র ছাড়া সব দলই ইভিএমের বিপক্ষে। অথচ নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দেখছে। ফলে সবাই একে অন্যকে শত্রু মনে করছে। নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য না হলে সংঘাত আরও বাড়বে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের রোববার এক মতবিনিমিয় সভায় এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পরিষদের সঙ্গে এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জি এম কাদের।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য না হলে সংঘাত আরও বাড়বে। কারণ আগামী নির্বাচন হবে অস্তিত্বের লড়াই। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে সবাই প্রতিপক্ষকে শত্রু মনে করছে। সবাই মনে করছে, পরাজিত হলে সে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

‘এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা চাই না। আমরা চাই সবাই যার যার রাজনীতি করবে। পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। সরকার সবাইকে ডেকে অথবা গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। অসহিষ্ণু রাজনীতি কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন। সরকার নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে স্বাভাবিক নির্বাচন চায় না। সরকার ও তাদের কিছু মিত্র ছাড়া সব দলই নির্বাচনে ইভিএম চায় না। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করবে- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্য ভালো না হলে কোনো কিছুই ভালো হবে না। নির্বাচন কমিশনকে সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। অর্থনৈতিক সমস্যায় সীমাহীন কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। দেশেও জ্বালানি তেলের দাম কমানো উচিত। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে, সেগুলোও যেন কমানো হয় সে জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

‘মহামারি করোনা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে অনেক দেশই সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণমুখী নানা কর্মসূচি নিয়েছে। অথচ আমাদের দেশে সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। বাজেটে যেটুকু বরাদ্দ দেয়া হয় তাও দুর্নীতির কারণে সাধারণের কাছে পৌঁছে না। মানুষ বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনে মেগা প্রকল্প বন্ধ রাখা উচিত।’তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র, সরকার ও সরকারি দল এখন এক করে ফেলা হয়েছে। সরকারের সমালোচনা করলে রাষ্ট্রবিরোধী মনে করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা দেয়া হয়।’

জাতীয় মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পরিষদের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিয়াংকা সকুলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, দলীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফি।

এ বিভাগের আরো খবর