শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করে পদবঞ্চিদের মূল্যায়নের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ।
রোববার বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভের সূচনা করেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের ছয়টি গ্রুপের নেতাকর্মী। গ্রুপগুলো হলো- ভিএক্স, কনকর্ড, আরএস, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা।
এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান ও বিক্ষোভ করতে থাকেন নেতাকর্মীরা। পরে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে গেটের তালা খুলে দেন তারা।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গত ৩১ জুলাই ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বিতর্কিত অনেকেই। কিন্তু বাদ পড়েছেন পরিশ্রমী ও ত্যাগীদের অনেকেই।
আরএস গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রকিবুল হাসান দিনার বলেন, ‘সদ্য ঘোষিত শাখা ছাত্রলীগের যে অসমাঞ্জস্যপূর্ণ কমিটি সেখানে দীর্ঘদিনের পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতাদের রাখা হয়নি। আমাদের দাবি, কমিটি বর্ধিত করে তাদের পদায়ন করতে হবে এবং কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিতে হবে।’
দাবিসমূহ না মানা পর্যন্ত এভাবে ধারাবাহিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান দিনার।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমরা লাগাতার অবরোধে যাইনি। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অবরোধ করেছিলাম। আমাদের পদবঞ্চিত কর্মীরা এ অবরোধ করেছে। আমাদের আস্থা আছে জয়-লেখক ভাই আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন।’
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধেই তারা গেটের তালা খুলে ফেলেছেন। তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে আবারও নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ সময় দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধেরও হুমকি দেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মীরা তালা দিয়েছিল। আমরা যাওয়ার পর খুলে দিয়েছে। কমিটির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা দেয়াটা যুক্তিসংগত না। ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করার নেই।’
প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কমিটি বর্ধিত করে পদবঞ্চিতদের অন্তর্ভুক্ত করতে দাবি জানিয়ে আসছেন শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি উপগ্রুপের নেতাকর্মী।