বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগ নেতাকে হত্যায় প্রধান আসামি উপজেলা সহসভাপতি

  •    
  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৩৪

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘সাইদার রহমান আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। এমন হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমি পুলিশ প্রশাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।’

পাবনার হেমায়েতপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদার রহমান মালিথাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে।

ঘটনার দুদিন পর রোববার দুপুরে নিহতের ভাই আফজাল মালিথা পাবনা সদর থানায় এই মামলা করেন।

আসামিরা হলেন হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন মালিথা, তার ভাই রঞ্জু মালিথা, দুলাল মালিথা, আশরাফ মালিথাসহ ২০ জন। তবে এখনও কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল এসব নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের পর দাফন হয়েছে। এরপর রোববার মামলা হয়েছে। অভিযোগ ছাড়াও সম্ভাব্য সব ধরনের মোটিভ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আসামিরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক।

সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া মুজিব বাঁধ এলাকায় শুক্রবার দুপুরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত সাইদার রহমান পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

যা ঘটেছিল

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি জানান, বেলা দেড়টার দিকে সাইদার বাঙ্গাবাড়িয়া বাজারে বাঁধের একটি দোকানে বসে ছিলেন। সে সময় মোটরসাইকেলে করে একদল হেলমেট পরা লোক এসে তাকে ঘিরে ধরে। তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহতের নাতি সাদ্দাম মোল্লা নিউজবাংলাকে সেদিন বলেন, ‘সাইদার দাদা দুপুরে ফোন করে আমাকে আসতে বলেন। বাজারে কথা শেষে নামাজ পড়ার জন্য বাড়ির দিকে রওনা হওয়ার ১০ মিনিট পরই শুনতে পাই তাকে কারা যেন হত্যা করেছে।’

নিহতের স্ত্রী দিলরুবা জাহান সেদিন অভিযোগ করে বলেন, ‘সাইদারের সঙ্গে হেমায়েতপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। কয়েক দিন ধরে আলাউদ্দিন তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন। গতকালও (বৃহস্পতিবার) হুমকি দিয়েছিলেন।’

হেমায়েতপুর ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, শরিকানা জমি নিয়ে আলাউদ্দিন ও সাইদারের পরিবারের বিরোধ অনেক বছরের। এর জেরে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার মারামারি হয়েছে।

চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকের (শুক্রবারের) ঘটনাও সেই বিরোধের জের বলেই শুনেছি। তবে ওই এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি সোলার প্ল্যান্টের জমি কেনা নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘সাইদার রহমান আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। এমন হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমি পুলিশ প্রশাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর