বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুরুচিপূর্ণ আচরণের অভিযোগে শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ

  •    
  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:০১

লিখিত অভিযোগে ছাত্রীরা বলেছে, ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন শ্রেণিকক্ষে হরহামেশাই ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দেন এবং অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন। তিনি যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করেন। তাকে অপসারণ করা না হলে আমরা ছাড়পত্র নিয়ে অন্য স্কুলে লেখাপড়া করব।’

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জে এক স্কুলশিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।

শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় এই বিক্ষোভ করেছে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ সময় মোট ৫৬ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসংবলিত একটি লিখিত অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুরাইয়া আশরাফীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন শ্রেণিকক্ষে হরহামেশাই ছাত্রীদের শরীরে হাত দেন এবং অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন। তিনি যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করেন। এ শিক্ষককে অপসারণ করা না হলে আমরা এই স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে অন্য স্কুলে লেখাপড়া করব।’

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক মোশারফ হোসেনের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন বোর্ডে আছি, ব্যস্ত। আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব।’ এরপর তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ আজিজ বলেন, ‘সকালবেলা স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। তবে তাদের আমরা বুঝিয়ে ক্লাসে পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। ওরা পিটিও করেছে।

‘যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি এখন স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন না। আর এটা তো ফ্যান না যে সুইচ অন-অফ করলেই হয়ে গেল। এটি তদন্তসাপেক্ষ একটি বিষয়। আমরা তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’

তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করার পর শিক্ষা কর্মকর্তা এবং গভর্নিং বডির লোকজন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ে এসেছেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুরাইয়া আশরাফী বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমি স্কুলে এসেছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর