বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভারী গোলাগুলির ঘটনা কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
সচিবালয়ে রোববার দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আকাশ সীমানায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের মহড়ার পর গত ২৮ আগস্ট দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশের অংশে। এরপর কাঁটাতারের ওপারে মিয়ানমারের ভেতর সেনাদের টহল দিতেও দেখা যায়।
মিয়ানমারের গোলাগুলির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কূটনৈতিকভাবে দেখব। আমরা তো যুদ্ধ করতে যাচ্ছি না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধান করব। আজকের সিচুয়েশন, সেখানে গোলাবারুদ কমে গেছে।’
এ সময় স্ত্রী হত্যা মামলায় আটক সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে নিয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বাবুলকে ‘চতুর’ বলে অভিহিত করেন।
হেফাজতে নির্যাতন নিয়ে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার যে অভিযোগ এনেছেন তার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আমি বলেছি সে একজন চতুর ব্যক্তি, এটা আবার রিপিট করছি। আর যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা তদন্তের বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারব না। তদন্ত যেন সঠিকভাবে হয় সেটা আমরা দেখব।’
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে। পরে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার।
পরে তদন্তে বাবুলেরই সম্পৃক্ততা পান তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। এরপর গত ১২ মে তিনি বাবুলের মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।
ওই দিনই নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন আরেকটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় কারাগারের আছেন বাবুল।
এদিকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয়জনের নামে চট্টগ্রামের আদালতে মামলার আবেদন করেছেন আলোচিত সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।