বরিশালে বিয়ের প্রলোভনে নারীকে ধর্ষণ ও এর ভিডিও ধারণের ঘটনায় পলাতক প্রধান আসামিকে নরসিংদীর রায়পুরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
রোববার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান র্যাব-১১-এর নরসিংদী ক্যাম্প অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন।
তিনি জানান, বরিশালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় বলা হয়, আসামি মো. আনাচ মিয়ার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রায়পুরা থানাধীন ঝাউকান্দির মেঘনাবাজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-১১ নরসিংদীর একটি দল।
পরে ওই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ৪০ বছর বয়সী আনাচ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি রায়পুরা উপজেলার মেঘনাবাজ ঝাউকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও কুয়েতপ্রবাসী।
র্যাব-১১-এর কর্মকর্তা আরও জানান, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার মো. আনাচ মিয়া একজন ‘অভ্যাসগত যৌন অপরাধী’। ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি বিয়েবিচ্ছেদ হওয়া ৩৮ বছর বয়সী এক নারীর সঙ্গে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন। গত চার বছর ধরে এই সম্পর্ক চলে। গত মাসের ২৪ আগস্ট বরিশালের কাউনিয়ায় ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে আনাচ ধর্ষণ করেন এবং তা ক্যামেরায় ধারণ করেন।
এরপর আসামি কৌশলে পালিয়ে রায়পুরায় চলে যান। পরবর্তী সময়ে তার ইচ্ছামতো যৌন সম্পর্ক চালিয়ে না গেলে ওই নারীর নগ্ন ছবি/ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন তিনি।
নির্যাতিতা আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো বিকল্প খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সেই মানসিক দুরবস্থা উতরে তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কাউনিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি কন্ট্রোল অ্যাক্টে আনাচের নামে মামলা করেন।
বরিশাল কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুরোধের প্রেক্ষিতে আসামি আনাচের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে রায়পুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির কাছ থেকে আলামত জব্দ করা হয়েছে।
পরে বিএমপি, বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানার সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রাহাতুল ইসলাম সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্পে এসে ওই আসামিকে বরিশাল নিয়ে যান।
-