মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
গত ১৮ জুলাই চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখে।
আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত শেষ হয়।
শুরুর দিকে এ মামলায় আসামি ছিলেন পাঁচ জন। এরমধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বাকী চার আসামি হলেন নেত্রকোণার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান এবং একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মো. শাহনেওয়াজ।
তবে বিচার চলাকালে বাকী তিন আসামিও বিভিন্ন সময়ে মারা যান।
এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দূর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।
এরমধ্যে এক অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, এক জনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চার জনের মধ্যে দুইজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক তিনি।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, ‘চার আসামির মধ্যে বিচার চলাকালে তিনজনের মৃত্যু হয়। একজন আসামি বেঁচে আছেন। তিনিও পলাতক।’