বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাওয়ার স্পিডবোট এখন ঢাকা-গাজীপুরের নদীতে

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৩১

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষের একটি চাহিদা ছিল নৌপথে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন। নৌপথে উন্নয়ন ঘটলে সড়ক পথে যানজটের ভোগান্তি কিছুটা কমবে। তা ছাড়া ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে নদী পথে ব্যয় কমাবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টঙ্গী নদীবন্দর হতে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।’

পদ্মা সেতু চালুর পর মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় অনেকটা বন্ধ হয়ে যায় স্পিডবোটে পারাপার। ফলে এতদিন অলস পড়ে ছিল সেগুলো। এবার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ঢাকার নৌপথে গাজীপুরের টঙ্গী পর্যন্ত স্পিডবোট সার্ভিস চালু হয়েছে।

টঙ্গী নদীবন্দর থেকে কড্ডা এবং টঙ্গী-উলুখোলা (কালীগঞ্জ) রুটে এসব স্পিডবোট খুব সহজেই রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দেবে। এ ছাড়া রাজধানীর সদরঘাট থেকে গাবতলী হয়ে টঙ্গীতে যাওয়া যাবে।

শনিবার দুপুরে টঙ্গী নদীবন্দর থেকে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ইকোপার্ক উদ্বোধন করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

প্রাথমিক অবস্থায় পাঁচটি স্পিডবোট দিয়ে শুরু হলেও চাহিদা বাড়লে আরও বেশি স্পিডবোট দিয়ে সার্ভিস চালু রাখার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষের একটি চাহিদা ছিল নৌপথে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন। নৌপথে উন্নয়ন ঘটলে সড়ক পথে যানজটের ভোগান্তি কিছুটা কমবে। তা ছাড়া ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে নদী পথে ব্যয় কমাবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টঙ্গী নদীবন্দর হতে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।’

টঙ্গী থেকে চালু হওয়া সার্ভিসটি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে দেয়া হয়েছে। তবে এ খাতে আরও যারা বিনিয়োগ করতে চান তাদের স্বাগত জানানো হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

তুরাগ দূষণমুক্ত রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার চারপাশের নৌপথকে কাজে লাগাতে হবে। নদীর দুই পাশ দখলমুক্ত ও মানুষের কল্যাণে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নদীর পারে গড়ে ওঠা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানান্তর করার কাজ চলছে।’

পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ততম হিসেবে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার অর্থনীতির চালিকাশক্তি। নদীগুলো মরে যাচ্ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত তিন বছরে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকার চারপাশে নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদীর জায়গা ফিরিয়ে দিয়েছে। এ কাজটি দুঃসাধ্য ছিল, কারণ দখলদাররা সবাই প্রভাবশালী ছিল। আমরা ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের জন্য কাজ করছি। ইতোমধ্যেই সাত হাজারের ওপরে নৌপথ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।’

তুরাগ দখল রোধে ও জনসাধারণের বিনোদনের জন্য ১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে টঙ্গীতে। ইকোপার্কটির নাম পরিবর্তন করে গাজীপুরের প্রয়াত সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের নামে নামকরণ করার ঘোষণাও দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘মানুষ নদীর ক্ষতি করছে। গাজীপুরে প্রায় তিন হাজার শিল্প-কলকারখানা রয়েছে, এর বেশির ভাগ কলকারখানা কর্তৃপক্ষ ইটিপি থাকা সত্ত্বেও সেটি ব্যবহার না করে দূষিত পানি সরাসরি ফেলে নদী ধ্বংস করছে।’

এসব বর্জ্য যেন নদীতে ফেলা না হয় তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে মনিটরিংয়ের অনুরোধ জানান।

ইকোপার্ক ও নৌপথের ইজারাদার ইনফিনিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘তুরাগ নদের পানিতে প্রচুর ময়লা রয়েছে। যার ফলে নৌযান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। তাই নদী দূষণ ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে।’

টঙ্গী নদীবন্দর থেকে কড্ডা পর্যন্ত ভাড়া ১৫০ টাকা ও টঙ্গী-উলুখোলা (কালীগঞ্জ) পর্যন্ত ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল, নৌ পুলিশ প্রধান শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিনসহ অন্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর