বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাল উদ্ধারের বাধা আওয়ামী লীগের নেতারা

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:০৪

বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি যায় ১০টি গ্রামে, শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষে সেচের জন্য ব্যবহার হয় খাল দুটি। স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন খাল দুটি উদ্ধারে উদ্যোগ নেয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাধার মুখে অভিযান চালাতে পারেননি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।

খুলনার ডুমুরিয়ায় দুটি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা তাকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে দেননি।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার ওড়াবুনিয়া বিলের মধুমারী ও বিষের খালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কথা ছিল।

এলাকার লোকজন জানান, ওড়াবুনিয়া বিলে মধুমারী ও বিষের খাল দীর্ঘদিন ধরে বেদখল। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাঁধ ও নেট দিয়ে ঘিরে সেখানে মাছ চাষ করছেন। বিলের পানি নিষ্কাশনে বাঁধার কারণে বিঘ্ন হচ্ছে কৃষিকাজে। ওই বিলে অন্তত ২ হাজার একর ফসলি জমি আছে।

১০টি গ্রামের পানি নিষ্কাশনের পথ এই বিল। সেখানে খাল দুটির কারণে পানি বের হতে পারে না। এলাকার দুই শতাধিক মানুষ লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা প্রশাসনের কাছে। এখন বৃষ্টিপাত বাড়ছে, খাল দখলমুক্ত না হলে গ্রামগুলো পানিতে তলিয়ে যাবে বলে তারা মনে করেন।

বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি যায় ১০টি গ্রামে, শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষে সেচের জন্য ব্যবহার হয় খাল দুটি। স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন খাল দুটি উদ্ধারে উদ্যোগ নেয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর এলাকায় মাইকিং করা হয়।

শনিবার উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতায় ৩ শতাধিক কৃষক স্বেচ্ছায় ঝুঁড়ি কোদাল নিয়ে হাজির হন খালের পাড়ে। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাধার মুখে অভিযান চালাতে পারেননি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।

ডুমুরিয়ার আটলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার রায় বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান থাকাকালে ২০১৮ সালে স্থানীয়দের দাবিতে খাল দুটি দখলমুক্ত করেছিলাম। বর্তমান চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করছেন। খালের বিভিন্ন অংশে তারা নেটজাল ও পাটা দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। এতে স্থানীয় কৃষকরা খুবই ক্ষতির শিকার।

‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খাল দখলমুক্ত করতে এসেছিলেন। তবে অভিযানের শুরুতেই সেখানে উপস্থিত হন মাগুরাঘোনা ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হেলাল, আটলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম ফারুক হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক গোবিন্দ ঘোষ, মোজাম্মেল হোসেন মোড়ল, সুরঞ্জন ঘোষ, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম বাবুসহ নেতারা। তারা অবৈধ দখলদারের পক্ষ নিলে ম্যাজিস্ট্রেট বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।’

ডুমুরিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক গোবিন্দ ঘোষ বলেন, ‘আমরা ম্যাজিস্ট্রেটকে বাধা দেইনি। স্থানীয়দের সুবিধার্থে অভিযান স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেছি। তিনি সময় দিয়েছেন মাছ ধরে নেয়ার জন্য।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘অভিযানের সময় স্থানীয় কিছু মানুষ সময় চেয়েছেন। খালের মাছ আহরণের জন্য এই মাস পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। ১ অক্টোবরের মধ্যে তারা সরে না গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর