রাজধানীর দয়াগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছেন কদমতলী থানা ছাত্রদলের ৩ নেতা।
শনিবার বেলা ২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আছেন কদমতলী থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান সুজন ও আতিকুর রহমান মুন্না। তারা নয়াপল্টনে মিটিং শেষ করে রিকশাযোগে শ্যামপুরের বাসায় ফিরছিলেন।
আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কেন ও কারা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে তা জানতে পারেননি স্বজনরা।
আহত ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম জানান, শ্যামপুর-কদমতলী ছাত্রদলের একটি সভা ছিল নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠকের পর দুপুরে নেতাকর্মীরা নিজেদের বাসায় ফিরছিলেন। একটি রিকশায় শ্যামপুরে যাচ্ছিলেন তিনিসহ তিনজন।
দয়াগঞ্জ মোড়ে ৬-৭ জন যুবক তাদের রিকশার গতিরোধ করেন। পরে যোগ দেন ৭-৮ জন। মারধর শুরু করলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে তারা ৩ জনকে রাস্তার ধারে ফেলে যান।
হামলার খবর পেয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। তারা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
ছাত্রদলকর্মী খোকন মিয়া বলেন, ‘আমরা দয়াগঞ্জ পৌঁছে হামলাকারীদের পাইনি। তখন পরিস্থিতি দেখে বোঝার উপায় ছিল না সেখানে হামলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত অথবা রাজনৈতিক বিরোধে হামলা হয়েছে। তবে কারা হামলা করেছে, সে ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়নি।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের শরীরে একাধিক স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাত আছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।