প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে যথেষ্টই ভালো আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। দেশটির ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা ভিন্ন রকম উৎসাহী।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রংপুরে দুদিনের সফরে এসে শনিবার নগরীর সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের অনেক প্রদেশ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ট্রানজিট চাচ্ছে। একই সঙ্গে জানতে চেয়েছে ওদের কোনো বন্দর ব্যবহার করে আমরা বিদেশে পণ্য রপ্তানি করতে চাই কি না।
তবে সব ক্ষেত্রেই প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। একটি সিনিয়র কমিটি বসে কথাবার্তা বলে এসব বিষয় ঠিক করবে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারতকে এ দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের কথা বলেছেন। বিষয়টি তারা বিবেচনায় নেবে। তাদের কিছু দাবি ছিল। সেসবই বিবেচনায় রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের ব্যবসায়ীরা এখানে বড় ধরনের বিনিয়োগে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তারা এখানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন। সেই বিনিয়োগের আকার তারা আরও বড় করতে চাচ্ছেন। বেশ কয়েকটি সেক্টরে তারা বিনিয়োগ করবেন, বিশেষ করে জ্বালানি, ট্রান্সপোর্ট ও এগ্রো প্রসেসিংয়ে। আমরা আশাবাদী, তারা একটা ভালো বিনিয়োগ নিয়ে আসবেন।
‘তিস্তা নিয়ে সবাই প্রশ্ন করেছে। তবে তিস্তা নদী মূলত পশ্চিমবঙ্গের বিষয়। তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া আশা করা যাচ্ছে। সবকিছু মিলে এবারের আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।’
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। বৈশ্বিক পর্যায়ে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে এখানে। জ্বালানি তেলের দামের প্রভাব পরিবহনসহ সবকিছুর ওপরই পড়েছে।
‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমছে। সরকারও ফলোআপ করছে। ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। আমার মনে হয় খুব শিগগির আরও কিছুটা কমবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য দ্রুতই কমে আসবে। সমস্যা হচ্ছে ডলারের দামটা বেড়ে গেছে। সে জন্য আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমার সুবিধাটা পাচ্ছি না। ডলারের বাজার স্থির হলে তখন আমরাও সুবিধাটা পাব। সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে বসব। আমার মনে হয়, দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে দাম কিছুটা কমে আসবে।’