বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যরাতের পর ফের সংঘর্ষে কুবি ছাত্রলীগ

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:১৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল রাতে সংঘর্ষের কথা শুনে আমি হলে আসি। এরপর প্রক্টরিয়াল টিমকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে নিয়ে এসে হলের ফটক বন্ধ করে দিই। এখন আবার শুনলাম ক্যাম্পাসের গেটে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।’

মধ্যরাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। এর জেরে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে এই দুই গ্রুপ।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয় ওই দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কুবি সাংবাদিক বিভাগের শিক্ষার্থী নাজনীন নৈশি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার দুপুর থেকে দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছুড়ছে দুই পক্ষ।’

নাম না প্রকাশ করার শর্তে অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বিকার। রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হলেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্বৃতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেই। যার ফলে ওই ঘটনার জেরে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল রাতে সংঘর্ষের কথা শুনে আমি হলে আসি। এরপর প্রক্টরিয়াল টিমকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে নিয়ে এসে হলের ফটক বন্ধ করে দিই। এখন আবার শুনলাম ক্যাম্পাসের গেটে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মারামারির খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। বিস্তারিত পরে বলব।’

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখন দুই হলের মাঝে ফোর্স নিয়ে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় ওই দুই হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তখনও আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।

জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী সেলিম রেজাকে পথ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল রায়হান। নামাজ শেষে রায়হানের কাছে বিষয়টি জানতে চান বঙ্গবন্ধু হলের সেলিম রেজা, রিফাতসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ সময় দুই হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এর জেরে সন্ধ্যায় নজরুল হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করেন বঙ্গবন্ধু হলের আরেক ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষে জড়ান দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এ সময় রড, লাঠি, দেশীয় অস্ত্র হাতে দেখা দেখা যায় একাধিক ছাত্রলীগ কর্মীকে।

পরে রাত ২টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিভাগের আরো খবর