একই সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশ ডাকায় বগুড়ার শেরপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার সকালে এই জরুরি অবস্থা জারি করেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মইনুল ইসলাম। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই ধারা বলবৎ থাকবে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহর বিএনপি শাখা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। একই সময় একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকায় এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরপর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় টহলে রয়েছে পুলিশ।
শেরপুর শহর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুণ্ডু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নারায়ণগঞ্জের মিছিলে হামলার যুবদল কর্মী নিহতের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। গত ২৮ আগস্ট ৯টি ওয়ার্ডসহ এ বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করে শহর বিএনপি।
‘আজকের বিক্ষোভ সমাবেশের বিষয়ে জেলা বিএনপির আহবায়কের পক্ষ থেকে বগুড়া এসপি অফিসেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল শুক্রবার উপজেলা আওয়ামী লীগ পাল্টা বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি জামাত জোটের মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র, গুজব, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে বাসস্ট্যান্ডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা হয়েছে। ১৪৪ ধারার জন্য সমাবেশ হচ্ছে না।’
জানতে চাইলে ওসি আতাউর রহমান খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি একই জায়গায় সমাবেশ ডাকায় সহিংসতা এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে।’
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার দিনব্যাপী শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কোনো পক্ষকেই সেখানে সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।’