বিএনপি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চায় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নিজ বাসভবনে শনিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কাদের এ অভিযোগ করেন।
কাদের বলেন, ‘দলটি দুই দেশের মধ্যে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল গড়ে তুলেছে, ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প। প্রকাশ্যে বৈরিতা দেখিয়ে আবার দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকাই বিএনপির রাজনীতি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার আর গুজব না ছড়িয়ে আয়নায় নিজেদের শাসনামলে ভারত সফরের প্রাপ্তি দেখতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা যদি হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢেকে রাখে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কোনো অর্জন দেখতে না পাওয়ারই কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলেও বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’
বিএনপির শাসনামলে দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান হয়নি অভিযোগ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে রচনা করেছেন উভয় দেশের মধ্যে সেতুবন্ধ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সফরও পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং উন্নয়নের পথরেখায় সম্ভাবনার নতুন আলো ছড়িয়েছে।
‘বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে তার সব কিছুই দিয়েছে ভারত।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির বসবাস সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে। বন্দুকের নলের মুখেই তো বিএনপির জন্ম।’
আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, পেট্রল বোমা আর সন্ত্রাস কারা সৃষ্টি করে, সেই প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা আর ষড়যন্ত্র এই তিনটি নিয়েই বিএনপির রাজনীতি।
‘বিএনপির টার্গেট লুটপাট আর দুর্নীতি। এ দেশের রাজনীতিতে মামলা-হামলা-ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকে লালন করছে এবং এখনও করেই যাচ্ছে।’
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিয়ে ফখরুল বলেন, “শেখ হাসিনার ভারত সফরে আমরা এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অর্জন দেখতে পাইনি; বরং দেখতে পাচ্ছি যে, ‘সীমান্তে হত্যা শূন্যে আনা হবে’—যেদিন এ কথা বলা হয়েছে, সেদিনই দিনাজপুরের সীমান্তে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। এ হচ্ছে প্রাপ্তি।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘জনগণের প্রতি বিএনপির দায়বদ্ধতা আগেও ছিল না; এখনও নেই।’