বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কুবি

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:০৯

জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী সেলিম রেজাকে পথ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল রায়হান। নামাজ শেষে রায়হানের কাছে বিষয়টি জানতে চায় বঙ্গবন্ধু হলের সেলিম রেজা, রিফাতসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ সময় দুই হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে সন্ধ্যায় নজরুল হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করেন বঙ্গবন্ধু হলের আরেক ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষে জড়ান দুই হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাৎ মো. সায়েম, বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী ইকবাল, রাকিব, অনুপ দাশ, সোহাগ; নজরুল হলের সাকিব হাসান দীপ, আশরাফুল রায়হানসহ দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী সেলিম রেজাকে পথ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল রায়হান। নামাজ শেষে রায়হানের কাছে বিষয়টি জানতে চায় বঙ্গবন্ধু হলের সেলিম রেজা, রিফাতসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ সময় দুই হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এর জেরে সন্ধ্যায় নজরুল হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করেন বঙ্গবন্ধু হলের আরেক ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষে জড়ান দুই হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এ সময় রড, লাঠি, দেশীয় অস্ত্র হাতে দেখা দেখা যায় একাধিক ছাত্রলীগ কর্মীকে।

পরে রাত ২টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করছেন দুই হলের ছাত্রলীগ নেতারা।

কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হলের তিন-চার শ পোলাপাইন আমাদের হলে এসে হামলা চালায়। আমি সবাইকে হলের ভেতরে রাখার চেষ্টা করেছি। ওরা যেভাবে হামলা চালিয়েছে তাতে কয়েকজন মাডার হয়ে যেত। এই রকম নৃশংস হামলার বিচার চাই।’

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাৎ মো সায়েম বলেন, ‘আমরা চা খেতে হলের সামনের দোকানে যাই। সেখানে নজরুল হলের রায়হানসহ কয়েকজন উপস্থিত হন। এ সময় রায়হান আমাদের হলের একজনকে মারধর শুরু করেন।

‘আমি তাদের থামিয়ে নজরুল হলের সামনে নিয়ে গেলে কয়েকজন জুনিয়র মিলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি তবুও তাদের সভাপতিসহ সবাইকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের দিকে ইট মারতে থাকে। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, ‘এ সময় কারা কী করেছে, আমি দেখছি। আমি সবাইকে থামানোর চেষ্টা করেছি। এখন হলের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে অবস্থান করছেন। যে ঘটনাটি ঘটেছে পরবর্তী সময়ে যেন এ ঘটনা আর না ঘটে, এ জন্য সভাপতির সঙ্গে বসতে হবে; সবাইকে নিয়ে সমাধান করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন প্রভোস্ট ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রদের সংঘর্ষের কথা শুনে আমি হলে আসি। এরপর প্রক্টরিয়াল টিমকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে নিয়ে আসি এবং হলের ফটক বন্ধ করে দেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা প্রক্টরিয়াল বডি বসে এটা সমাধান করব।’

এ বিভাগের আরো খবর