ঢাকার কেরানীগঞ্জে যে বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়ে ছয়জন মারা গেছেন, ওই বাসায় এ দুর্ঘটনার মাত্র কয়েক দিন আগেই ঘটেছিল এমনই আরেক দুর্ঘটনা।
ওই অগ্নিকাণ্ডে সর্বশেষ মারা যাওয়া ১২ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইয়াছিনের খালু মোহাম্মদ নুরুল আমিন নিউজবাংলাকে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ৩০ আগস্ট আগুনের ঘটনায় মারা গেছেন ছয়জন, এর আগে ২৫ আগস্ট রাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল বাসাটিতে। সেদিন শাহাদাত হোসেন চা বানাতে গেলে ম্যাচের কাঠি ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।
নুরুল আমিন জানান, এতে বড় ধরনের আগুনের ঘটনা না ঘটলেও তার ডান হাতের বেশ কয়েক জায়গায় ঝলসে যায়। তখন স্বজনরা তাকে দ্রুত জিনজিরা সাজেদা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
তিনি জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় চলে আসেন। পরে সবাইকে উদ্দেশ করে বলেন, বাড়িওয়ালাকে বলে দাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্যাসের লাইনটা ঠিক করে ফেলতে, না হলে সবাইকে আগুনে পুরে মরতে হবে। তার পরের দিন বাড়িওয়ালা নতুন চুলা বসিয়ে দেন।
নুরুল আমিন বলেন, শাহাদাতের খোঁজখবর নেয়ার জন্য আমার স্ত্রীর মেজো বোন সোনিয়া ও তার মেয়ে মারিয়াম আক্তার এবং আমার খালা শাশুড়ি ইদুনি বেগম পান্নাসহ কয়েকজন তাদের বাসায় আসেন।
তিনি বলেন, এর পরদিন ভোরে বাড়ির কর্ত্রী মোছাম্মৎ বেগম নাশতা তৈরির জন্য চুলায় ম্যাচ ধরানোর সময় জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণে ঘরে আগুন ধরে নারী-শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হন। রাতে বাড়ি ফিরে যাওয়ায় অল্পের জন্য আমি বেঁচে যাই।
গত ৩০ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন মান্দাইল জাওলাপাড়া এলাকার একটি ভবনের নিচতলায় গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে।
দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, ইদুনি বেগম নামের এক নারী রান্নাঘরে চুলায় দিয়াশলাইয়ের কাঠি ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে সৃষ্ট আগুনে ইদুনিসহ ছয়জন দগ্ধ হন। পরে একে একে সবাই মারা যান।