বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁদা দিয়ে চলে কক্সবাজারের ‘কটেজ টর্চার সেল’

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:২৪

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তার হওয়া লোকমান সরোয়ার ও আব্দুল গফুরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

কক্সবাজারের কটেজ জোনের শিউলি কটেজে টর্চার সেল পরিচালনার অভিযোগে মূল হোতা লোকমানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হোটেল-মোটেল জোনের শিউলি কটেজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজন কটেজ জোনের অপরাধচক্র ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্র‍য়দাতাদের বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। কটেজ জোনের আশপাশের বেশ কয়েকজনের নাম বলেছে, যারা দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক হিসেবে চাঁদা নেন।’

লোকমানের দেয়া তথ্যের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, নির্বিঘ্নে টর্চার সেল চালাতে পাহাড়তলীর ইমরান, লাইটহাউস পাড়ার রমজান, কালু, খোকা, বাহারছড়ার সুমন, আজিজ, মিজান প্রত্যেকেই সপ্তাহে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা নেন।

বাহারছড়ার পাগলা রফিক, লাইটহাউস পাড়ার কালু, মুনসুর, মাহফুজ, খালেক ও জমির, পাহাড়তলীর নাছির নেন সপ্তাহে ৫০০ টাকা করে।

এ ছাড়া লাইটহাউস পাড়ার রাসেল, ফাহিম, কলাতলীর আমান প্রতি সপ্তাহে ৩০০, মোতালেব ৬০০, লাইটহাউস পাড়ার শুক্কুর ১ হাজার ৫০০, নেজাম ২০০ টাকা করে চাঁদা নেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম আরও জানান, পর্যটকদের আবাসিক হোটেল হিসেবে ব্যবহারের আড়ালে মোট ছয়টি কটেজে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। এসব কটেজে টার্গেট করে দালালদের মাধ্যমে পর্যটক আনা হয় এবং নারী ও মাদক দিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে সবকিছু কেড়ে নেয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তার হওয়া লোকমান সরোয়ার ও আব্দুল গফুরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর