বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শূন্যে নামানোর ঘোষণা দিয়েও সীমান্তে হত্যা, সফরের প্রাপ্তি এটাই’

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:১১

‘বলা হয়েছে যে সীমান্তে হত্যা জিরোতে আনা হবে। যেদিন এই কথা বলা হয়েছে, সেদিনই দিনাজপুরের সীমান্তে একজনকে হত্যা করা হয়েছে, আর দুজন নিখোঁজ হয়েছে- এই হচ্ছে প্রাপ্তি। আমাদের দৃশ্যমান প্রাপ্তি আমরা এগুলো দেখি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামার বিবৃতি দেয়ার পর সীমান্তে একজনকে হত্যা করা হয়েছে, দুজন নিখোঁজ হয়েছে। এটাই প্রাপ্তি।

শেখ হাসিনা চার দিনের সফর শেষে দেশে ফেরার পরদিন শুক্রবার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সফরে বাংলাদেশের অর্জন এখন পর্যন্ত আমরা যেটা দেখতে পারছি যে ৫৩ কিউসেক পানি কুশিয়ারা নদীর। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আমরা দৃশ্যমান কোনো অর্জন দেখতে পাইনি।

‘বরঞ্চ যেটা দেখতে পারছি যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটা প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে ভারত থেকে যানবাহন কেনার জন্য। আর বলা হয়েছে, সীমান্তে হত্যা জিরোতে আনা হবে। যেদিন এই কথা বলা হয়েছে, সেদিনই দিনাজপুরের সীমান্তে একজনকে হত্যা করা হয়েছে আর দুজন নিখোঁজ হয়েছে- এই হচ্ছে প্রাপ্তি। আমাদের দৃশ্যমান প্রাপ্তি আমরা এগুলো দেখি।’

গত সোমবার ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সে দেশের সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও নানা আনুষ্ঠানিকতায় ব্যস্ত ছিলেন।

এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা আর সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার, রেলের আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারকে সই করে বাংলাদেশ।

দুই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর শেষে যৌথ বিবৃতিতে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বিনা মাশুলে বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা, সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামানোসহ নানা বিষয় উল্লেখ ছিল।

দুই প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। বলেছেন অমীমাংসিত সব সমস্যার সমাধানের কথা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আর দেখেছি যে অত্যন্ত সুন্দর সুন্দর কথা বলা হচ্ছে, তাদের ভালোবাসা-প্রেম নিজেদের মধ্যে- সেগুলোর কথাগুলো খুব জোরে জোরে বলা হচ্ছে-সেটাই আমরা বুঝতে পেরেছি।

‘আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে এই সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করেছেন যে আওয়ামী লীগ সরকারকে যেকোনো উপায়ে টিকিয়ে রাখার জন্যে তারা যেন ব্যবস্থা নেয় সে কথা বলেছেন।’

ফখরুল আশা করেন, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারত তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখবে। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ, গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা বিশ্বাস করি, ভারতও তাদের যে গণতান্ত্রিক চরিত্র সেই চরিত্রকে অক্ষুণ্ন রাখবে।'

ফখরুল জিয়ার সমাধিতে যান বিএনপির নারীবিষয়ক শাখা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে। সংগঠনটির সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি ফুল দেন সেখানে। পরে জিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতেও অংশ নেন।

মহিলা দলের নেত্রী হেলেন জেরিন খান, নাজমুননাহার বেবী, নেওয়াজ হালিমা আরলী, চৌধুরী নায়াব ইউসুফও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

‘ফের রেইন অফ ট্রেরর শুরু হয়েছে’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। ঠিক আগের মতো যেটাকে আমরা বলেছিলাম, গায়েবি মামলা সেই গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। আপনারা জানেন যে ইতোমধ্যে আমাদের তিনজন নেতা- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতা তারা নিহত হয়েছেন। আমি গতকাল দেখতে গিয়েছিলাম পাকুন্দিয়ায় মারাত্মকভাবে আহত ছাত্রদলের ১৪ বছরের এক ছেলেকে। তার ফুসফুসে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, লিভারে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তার কিডনিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সে রক্ত বমি করছে… ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তার জীবনরক্ষার জন্য। এটা একটা ঘটনার কথা বললাম আমি।

‘এ ছাড়া অনেকের চোখ চলে গেছে, কারও মাথা ফাঁক হয়ে গেছে। সারা দেশে এখন আবার ‘রেইন অফ ট্রেরর’, সন্ত্রাসের রাজত্ব তারা আবার শুরু ‍করেছে। আমি বলতে চাই, সন্ত্রাস দিয়ে কখনও টিকে থাকা যায় না।

তিনি বলেন, ‘আপনারা লক্ষ করেছেন, আইনমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রী তারা তো বলতে শুরু করেছেন যে আমরা সভা-মিছিল এগুলোতে বাধা দেব না। কিন্তু বিএনপি যদি সন্ত্রাসী কাজ করে…।

‘বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, সন্ত্রাস করেও না। এখন পর্যন্ত আপনারা দেখেছেন যে মিডিয়ায় কোথাও কোনো সন্ত্রাসের চিত্র আসেনি। সন্ত্রাসের চিত্র যা এসেছে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের চিত্র এসেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তারা চড়াও হয়েছে গণতন্ত্রকামী মানুষের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপরে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জনগণের শক্তি দিয়ে এদের পরাজিত করব।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল ৪টায় মহিলা দল নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করবে।

এ বিভাগের আরো খবর