মেহেরপুরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গাংনী উপজেলার চৌগাছা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
২৫ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ নিশাত তাসনীম উর্মি ওই একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম প্রিন্স মাহমুদ।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নিহত গৃহবধূর স্বামী প্রিন্স উর্মি খাতুনকে চিকিৎসার জন্য গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক উর্মিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভোর ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
ওই নারীর বাবার অভিযোগ, তার জামাই প্রিন্স একজন মাদকাসক্ত। তাছাড়া বিয়ের পর থেকে উর্মিকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করত। গতকাল রাত ১১টার দিকে প্রিন্স ফোন করে তাদের জানায় উর্মি অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে এসে দেখি আমার মেয়ে উর্মি মারা গেছে। তাছাড়া তার শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অথচ আমার জামাই বলছে উর্মি নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। আমার বিশ্বাস আমার জামাই ও তার পরিবারের লোকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।
‘পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করব।’
উর্মির স্বামী প্রিন্সের কাছে এ বিষয়ে জানার জন্য ফোনে অনেকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
ওসি আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে জানান, নিহত গৃহবধূ উর্মির মৃত্যু নিয়ে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ থাকায় মরদেহটি ভোরেই হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।