আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় ভোলার লালমোহন উপজেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা হামলার ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ভোলা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির সোপান বলেন, ‘তেল-গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের হামলায় ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী নিহত হন।
‘ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (বৃহস্পতিবার) লালমোহন উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। ওই কর্মসূচিতে আসার পথে কর্তারহাট বাজার, গজারিয়া বাজার, রমাগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলায় আমাদের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
‘আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নয়ন, যুবদলের সুমন, সাইফুল্লাহ, মাহাবুব, শ্রমিক দলের জাকির, ছাত্রদলের সবুজ, পারভেজ, নওশাদ, রুবেলসহ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বাবুল পঞ্চায়েত বলেন, ‘পুলিশের সহায়তায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের ভয়ে আহতরা হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে পারেনি। তাদেরকে চরফ্যাশন, ভোলা সদর ও বরিশালের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বলেন, এসব হামলা-মামলা করে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না। আবার হামলা হলে বিএনপি বসে থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাসেত, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান সেন্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।