জরিমানার টাকার ভুয়া ব্যাংক চালান সরবরাহ করে আদালতকে প্রতারিত করার অভিযোগে মুহুরিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একই অভিযোগে আইনজীবীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিচারক। তাদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
নওগাঁর অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ইমতিয়াজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
এর আগে নওগাঁ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক খোরশেদ আলম এই চার জনের বিরুদ্ধে মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতেই মামলা করেছিলেন গত ২১ জুলাই।
কারাগারে পাঠানো মুহুরি হলেন নওগাঁ পৌরসভার মহিদুল ইসলাম। আর পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন নওগাঁ আদালতের আইনজীবী বিপ্লব কুমার দাস, সাপাহার উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন ও তার বাবা শহিদুল ইসলাম।
এসব নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম।
এজাহারসূত্রে জানা গেছে, সাপাহারের একটি চেক ডিজঅনারের মামলায় ২০১৯ সালের ২ মে আসামি নাছির উদ্দিনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩। বিধি অনুযায়ী জামিন আবেদনের শর্ত হিসেবে জরিমানার ৫০ শতাংশ টাকা অর্থাৎ ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন মর্মে বিচার বিভাগীয় জমা খাতে ব্যাংক চালানের কাগজ দেয় আসামিপক্ষ। জামিনও পেয়ে যান আসামি।
বাদীপক্ষ চলতি বছরের ১৭ জুলাই আসামির জমা দেয়া জরিমানার ৫০ শতাংশ টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারে ব্যাংক চালান অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে কোনো টাকাই জমা হয়নি। আদালত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয় সোনালী ব্যাংক নওগাঁ শাখাকে।
অনুসন্ধানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আদালতে জমা দেয়া ব্যাংক চালানটি সঠিক নয়। ওই চালানের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো টাকা ওই শাখায় জমা হয়নি।
এ ঘটনায় বিচারক খোরশেদ আলম আদালতকে প্রতারণা করার অভিযোগে আসামি নাছির উদ্দিন, তার বাবা শহিদুল ইসলাম, তার আইনজীবী বিপ্লব কুমার দাস ও মুহুরি মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন।