নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শাওন প্রধান নিহতের প্রতিবাদে কর্মসূচি থেকে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন ২০ জন পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের গঙ্গাচড়া উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসালয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হোসাইন রায়হান।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে গঙ্গাচড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি উপজেলার ডাকবাংলোর দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে মিছিলের পেছন থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া হয়। তখন পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এই সংঘর্ষের পর গঙ্গাচড়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
রংপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন রায়হান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচি পালনের জন্য আমাদের কাছে অনুমতি নেয়। আমরা তাদের তাকওয়া মসজিদ থেকে আশার মোড় পর্যন্ত অনুমতি দিই।
‘কিন্তু তারা রুট পরিবর্তন করে জেলা পরিষদ মোড় থেকে থানা রোডে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পেছন থেকে বলা হয়, পুলিশ সামনের নেতাকর্মীদের পেটাচ্ছে। এই ভুয়া কথা বলে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই।’
এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘তার পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। আমাদের অনেক মালামালের ক্ষতি হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা গুলি করলে নিহত গন যুবদল কর্মী শাওন প্রধান।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আর এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ হচ্ছে।