বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কেবল প্রত্যাহার নয়, কনকের বিচার, মামলা প্রত্যাহার চাই’

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৩৪

‘আমরা প্রথমেই বলেছি, আমাদের কর্মী শাওন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। তারা প্রথম থেকে আমাদের দিকে ঘটনা চাপাতে চেয়েছে। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এখন এটা পরিষ্কার হচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, আমাদের নামে যে মামলা হয়েছে সেটিও প্রত্যাহার করা হোক। একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত করে শাওন হত্যার বিচার দাবি করছি।’

বিএনপির মিছিলে গুলি করার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে কেবল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে খুশি নয় বিএনপি। তারা সেদিনের ঘটনায় বিচারিক তদন্ত করে মাহফুজুর রহমান কনকের বিচার দাবি করেছে।

পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনায় শাওনের বড় ভাইকে দিয়ে যে মামলা করানো হয়েছে, সেটি প্রত্যাহারের দাবিও করছেন বিএনপির নেতারা।

দলটির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান নেতাকর্মীরা। তাদের ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ যখন কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ছিল, সে সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তা কনক তার হাতের লাঠি ফেলে অন্য এক পুলিশ সদস্যের চায়নিজ রাইফেল তুলে দেন।

এই ধরনের রাইফেল সাধারণত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করে না পুলিশ। তবে কনক সেই রাইফেল নেতাকর্মীদের দিকে তাক করে গুলি করেন সরাসরি।

সেদিন শাওন প্রধান নামে যে যুবক মারা গেছেন, তিনি যুবদল কর্মী জানিয়ে বিএনপি অভিযোগ করছে, কনকের গুলিতেই তিনি মারা গেছেন।

সেদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে কি না, কনকের গুলি করা সংগত ছিল কি না, তিনি অন্যের রাইফেল হাতে তুলে নিতে পারেন কি না- এসব প্রশ্নে পুলিশের নির্লিপ্ততা নিয়ে যখন সমালোচনা হচ্ছে, তখন নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ফখরুদ্দিন ভূইয়া নিউজবাংলাকে জানান, কনককে প্রত্যাহার করে জেলার পুলিশ লাইনসে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।

কনকের কেবল প্রত্যাহার আদেশেই খুশি নয় বিএনপি। তারা সেদিনের ঘটনা তদন্ত করে বিচারের দাবি করছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুধু প্রত্যাহার করলে হবে না। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

গোয়েন্দা কর্মকর্তা কনক সেদিন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গুলি করেন সরাসরি

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, ‘তিনি অপরাধ করেছেন। সরাসরি আমাদের গুলি করেছেন। শুধু তার প্রত্যাহার নয়, কনকের শাস্তিও দাবি করছি। আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।’

কনকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এত দেরি কেন, সেই প্রশ্ন তুলে নারায়ণগঞ্জ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাসুম বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্য যখন অপরাধ করে তাকে প্রত্যাহার বা বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু যখন সাধারণ মানুষ অপরাধ করে তখন তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমি জানতে চাই রাষ্ট্রের আইন কয়টা?’

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দল বা পুলিশ বুঝি না। যে বা যারা আইন মানেনি, আমরা পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ দোষীদের বিচার দাবি করছি।’

মামলা প্রত্যাহার দাবি

শাওন নিহত হওয়ার পর সেই রাতে তার বড় ভাই মিলন প্রধান যে মামলা করেন, তা প্রত্যাহারের দাবিও উঠেছে।

সেই মামলায় আসামি করা হয় বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে। তবে মিলনের সঙ্গে থানায় যাওয়া তার এক মামা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, তারা কোনো মামলা করেননি। পুলিশ নানা কাগজ দিয়েছে। লাশ নেয়ার জন্য মনে করে তারা কেবল সই করেছেন।

যুবদল কর্মী শাওন সেদিন গুলিতে নিহত হলেও তার বড় ভাই যে মামলা করেছেন, তাতে আসামি করা হয়েছে বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে। যদিও অভিযোগ উঠেছে মামলা লিখে দিয়েছে পুলিশ

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমরা প্রথমেই বলেছি, আমাদের কর্মী শাওন পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। তারা প্রথম থেকে আমাদের দিকে ঘটনা চাপাতে চেয়েছে। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এখন এটা পরিষ্কার হচ্ছে।

‘আমরা দাবি জানাচ্ছি, আমাদের নামে যে মামলা হয়েছে সেটিও প্রত্যাহার করা হোক। একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত করে শাওন হত্যার বিচার দাবি করছি।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, ‘শুধু প্রত্যহার করলে হবে না। তার বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যম ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের কর্মী মারা গেছে অথচ আমরা মামলার আসামি।’

এ বিভাগের আরো খবর