চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তাস খেলার সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার এক দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদীর নতিডাঙ্গা ঘাট থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বুধবার দুপুরে ভাংবাড়িয়া গ্রামে তাস খেলার সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন ৩২ বছর বয়সী টোকন আলী।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল আলীম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার দুপুরে জুয়া খেলার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাংবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় গ্রামের একটি বাঁশবাগানে চারজন যুবক তাস খেলছিলেন। এ সময় ধাওয়া দিয়ে দুই যুবককে আটক করা হলেও টোকনসহ নাজিম নামে আরও একজন দৌড়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে নাজিম পাড়ে উঠতে পারলেও সাঁতার না জানায় নিখোঁজ হন টোকন আলী।
খবর পেয়ে বিকেলে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে টোকনকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে খবর দেয়া হয় খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে। বৃহস্পতিবার সকালে নতিডাঙ্গা গ্রামের ঘাট থেকে টোকনের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক রফিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টায় ভাংবাড়িয়া গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বেলা ২টার দিকে নতিডাঙ্গা গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে টোকনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
মৃত টোকনের বড় ভাই আকালী ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশের তাড়া খেয়ে আমার সাঁতার না জানা ভাই নদীতে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয়েছে। আমার ভাই তাস খেলছিল, জুয়া খেলেনি। গ্রামের করিরুল ও আকসেদকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।’
ওসি বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’