বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রামুর বনে রাস্তা সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:৫৫

‘সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করলে ব্যাপক বনভূমি ধ্বংস, দূষণ অনেক কিছু হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই বলেও আমি পত্রিকায় দেখেছি। বনভূমির ভেতর দিয়ে রাস্তা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।’

কক্সবাজারের রামুর সংরক্ষিত বনের ভেতরে রাস্তা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সচিবালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি সমীচীন নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এর পক্ষে নই, এটি সমর্থন করতে পারি না। যেহেতু পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র আমি, পরিবেশকর্মী ছিলাম, ১০ বছর দলের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলাম, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে তো পরে এসেছি।

‘সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করলে ব্যাপক বনভূমি ধ্বংস, দূষণ অনেক কিছু হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই বলেও আমি পত্রিকায় দেখেছি। বনভূমির ভেতর দিয়ে রাস্তা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।’

কক্সবাজারের উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের ভিতর দিয়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এতে হুমকিতে পড়েছে বনাঞ্চল। অভিযোগ আছে, বন বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না নিয়েই এ সড়কটি তৈরি করা হচ্ছে।

বন বিভাগ বলছে, সড়কটি নির্মাণ করতে বনাঞ্চলের গর্জন, জাম, থেনশুর, বাটনা, চাপালিশ, আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭০ হাজার গাছ কাটতে হবে। বনাঞ্চলটি আইইউসিএনের তালিকাভুক্ত মহাবিপদাপন্ন এশিয়ান হাতির আবাসভূমিও। এ ছাড়া বনটিতে হরিণ, বানর, মেছোবাঘ, শিয়াল, সাপ, শজারু, শূকরসহ অন্তত ১০০ প্রজাতির বন্য প্রাণী ও পাখি আছে।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী বিএনপির সমালোচনায় বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে বন্দুকের নলের শক্তি, ষড়যন্ত্র আর বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেটি বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতেই বলীয়ান এবং সেটিই বাস্তবতা।

‘অন্য কোনো শক্তির সমর্থন সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনও দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় যায়নি এবং কোনো বিদেশি শক্তির ওপরও আমরা নির্ভরশীল নই। আমরা জনগণের শক্তির ওপরই নির্ভরশীল।’

বিএনপিকে জনগণের সমর্থনহীন দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি দিনের বেলায় নয়াপল্টনে অফিস করে, রাতের বেলায় দূতাবাসে দূতাবাসে ঘুরে বেড়ায়। কারণ তারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে না। তারা মনে করে দূতাবাসে ঘুরে বেড়ালে বিদেশিরা তাদের কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে।

‘কিন্তু ক্ষমতায় বসানোর মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপি বিশ্বাস করে বন্দুকের শক্তিতে, যেভাবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিল। তারপর উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে ক্ষমতায় ছিল, সেভাবে আগামীতেও চলবে। আজকে যারা বিএনপির হয়ে বড় বড় কথা বলছেন, তারা সবাই অন্য দল করতেন, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করতেই বিএনপিতে গিয়েছিলেন। তাদের কাছে শুদ্ধ রাজনীতি আশা করা যায় না।’

এ বিভাগের আরো খবর