টানা তিন দিন ধরে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার। তা এখন প্রায় ৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে এই হার।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আরও বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে এই সময়কালে নতুন করে কোনো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর গত ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫।
তার পর থেকে এ হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। কিন্তু গত সোমবার থেকে আবারও ৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৮২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। নতুন শনাক্তদের ২২৬ জন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা।
এদিন শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা মঙ্গলবারেও ছিল ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। সোমবার এ হার ছিল ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর তা রোববার ছিল ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে দশমিক ২৩ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৯ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩২৯ জনে অপরিবর্তিত আছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৬৫ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮২০ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তবে করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলে ভাইরাসটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।