ভোট বর্জনের ঘোষণা না দিয়ে নির্বাচনে এসে বিএনপিকে ‘মাজার জোর’ দেখাতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে বলব, নির্বাচনে আসেন। খেলা হোক, দেখি কে জিতে কে হারে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। শেখ হাসিনা সরকার সহযোগিতা করবে।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন মায়া।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বতিলের কারণে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি পরের ভোটে এলেও আবার পুরনো দাবিতে ফিরে গেছে। বলছে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে তারা ভোটে আসবে না।
মায়া বলেন, ‘আসেন নির্বাচন করি। দেখি, আপনাদের মাজায় কতকুটু জোর আছে। মাজার জোর নির্বাচনে দেখান, রাস্তা থেইক্যা ইট নিয়ে জোর দেখাইয়েন না। তাহলে কিন্তু খবর আছে।’
বিএনপির কেন ভোটে আসতে চায় না, সেটিও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘গুম-খুন, আগুন, সন্ত্রাস সব তাদের ডিকশিনারিতে। বিএনপি জানে, নির্বাচনে গেলে তাদের কি অবস্থা হবে। তাই তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। এটা কি হয় ভাই? এটা জোরের জায়গা না। সন্ত্রাসের জায়গা না।'
বিএনপি নেতাদের পাগল বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘পাগলের বাড়াবাড়ি বেশি হয়ে গেছে। এদেরকে পাবনা না পাঠানো পর্যন্ত মানুষ নিরাপদ না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, পাবনায় কয়েকটা কারাগার বানান। পাগল বেশি হইয়া গেছে। তাদের সেখানে আটকাতে হবে।
‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর। এরা ভালো কথার মানুষ না। এরা ভাল কথা শোনেও না, ভাল কথা বলতেও পারে না। বিএনপি হইলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মিথ্যাবাদী দল৷ সরকার কথা বলতে দেয় না বলে বিএনপি যে অভিযোগ করে আসছে, তারও জবাব দেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, 'আমরা নাকি কথা বলতে দেই না, দেখেন কেমনে গলা ফাইরা কথা কয়, প্রতিদিন কয়।’
বিএনপি শাসনামলে পুলিশের আওয়ামী লীগ অফিস ঘিরে থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমগো কাঁটাতারের মধ্যে রাখত। আমরা কাঁটাতার ভেঙেই কিন্তু টেনে হিচড়ে খালেদা জিয়াকে নামাইছি।’
শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়েও কথা বলেন মায়া। বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসেন। এটাই রীতি। এটা নিয়ে কত রকম গুজব। শেখ হাসিনা দেয় না, আনে। বাপের বেটি শেখ হাসিনা দিতে জানে না, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে যেটা করতে হয়, সেটাই তিনি করেন।’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আর মিথ্যা কথা বলবে না। মিথ্যার দিন শ্যাষ। পুলিশের উপর হামলা করবেন, ঢিল মারবেন, পুলিশ কি আঙুল চুষব?’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রিয়নেত্রী ভারতে গিয়েছেন। তারা (বিএনপি) বলছে, আমরা কিছু আদায় করতে পারে নাই। ভারতের থেকে যা কিছু আদায় হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। আন্তর্জাতিক মহলসহ সকলে শেখ হাসিনার ভারত সফরকে ইতিবাচক ভাবে দেখছে। শুধু বিএনপিই তা পারছে না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদও এ সময় বক্তব্য রাখেন।