ছোট, বড়, মাঝারি মিলিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৮৭টি প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সচিবালয়ে বুধবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলও এ বছর উদ্বোধন হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কিছুদিনের মধ্যে পদ্মার মিসিং লিংক খুলনা-যশোর-বাগেরহাট-নড়াইল থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলা এখনও পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত। মধুমতির ওপর কালনা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। এই সেতুর নির্মাণকাজ এ মাসেই শেষ হবে।
‘আমরা আশা করছি অক্টোবরের যেকোনো সময়, প্রধানমন্ত্রী যেদিনই সময় দেবেন, আমরা কালনা যেটার নামকরণ করা হয়েছে মধুমতি সেতু, এই সেতু উদ্বোধন হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলাই কানেক্ট হবে।
‘ঢাকা মেট্রোরেলের ৯৪ ভাগ কাজ যেটি উত্তরা থেকে আগারগাঁও, সেটিই প্রাথমিকভাবে উদ্বোধন হবে আগামী ডিসেম্বরে। আগামী বছর ডিসেম্বরের আগেই মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণকাজ, অরিজিনালি যেটি আমাদের পরিকল্পনা ছিল, এটি আমরা শেষ করব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আরেকটি প্রকল্প চট্টগ্রামে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নদীর তলদেশে একমাত্র টানেল কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এর দুটি টিউব। একটি টিউব অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন; আরেকটি করবেন নভেম্বরে। এটি দুবার লাগবে। এ বছরই আমাদের মেগা এ প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। ঠিক এ মুহূর্তে আমার হাতে উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষা করছে ৮৭টি ছোট, বড়, মাঝারি প্রকল্প।
‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সময় পেলে করবেন। আর না হলে আমাকে করতে বলেছেন। কাজ শেষ হয়ে গেছে। খাগড়াছড়িতে ৪২টি বেইলি ব্রিজকে পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করেছি। এখন রাঙ্গামাটিতে আমরা হাত দিয়েছি। সীমান্ত সড়ক নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে আপনারা জানেন, গাজীপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ছয় লেন সেতু নির্মাণও প্রায় শেষ। এটিও এ বছরই উদ্বোধন হবে। এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ছয় লেনের কাজ এগিয়ে চলছে। এটি সাসেক থ্রিতে। একটি যাবে পঞ্চগড়ে, আরেকটি যাবে বুড়িমারীতে। এগুলোও আমাদের হাতে রয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মেট্রোরেল যেটি ওয়ান, প্রধানমন্ত্রী যেকোনো সময় এর গ্রাউন্ড ব্রেকিং উদ্বোধন করতে পারেন। এটিতে আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে। এটি ৩১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২১ কিলোমিটার পাতাল ট্রেন আর ১০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে। আমাদের মাল্টিলাইন পাঁচ বছরের পরিকল্পনা, এটিরও কাজ চলছে। মোট ছয়টি মাল্টিলাইন ২০৩০ সালে শেষ করার টার্গেট। তখন ঢাকার আশপাশের চেহারা বদলে যাবে।
‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, শুরুতে এটি অনেক টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে হয়েছে ফান্ডিংয়ের কারণে। নাউ দিস ইজ ওভার। ৫২ পারসেন্ট কাজ ইতোমধ্যে আমরা শেষ করেছি। এটিও আরেকটি মেগা প্রজেক্ট।’