মোটরসাইকেলে চেপে দেশের সবচেয়ে বড় সেতু পার হওয়ার সুযোগ দেয়ার চিন্তা সরকারের আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর বিষয়ে প্রথমে আমাদের কোনো নিষেধ ছিল না। কিন্তু সেখানে একটা সমস্যা হয়ে গেছে। যে সমস্যার জন্য পদ্মা সেতুই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গিয়েছিল। এমনভাবে ছোট সবাই।’
গত ২৬ জুন যান চলাচল শুরুর পর সবার আগে সেতু পার হওয়ার প্রবণতায় রাত থেকেই হাজার হাজার বাইক ও যানবাহন সেতুর মাওয়া প্রান্তে জড়ো হতে থাকে।
এতে সেতুর টোলপ্লাজার আগেই দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সবার আগে সেতু পার হওয়ার প্রবণতায় বাইকচালকরা বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান।
বাইকাররা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন টোলপ্লাজায়ও। নির্দিষ্ট লেন না মেনে প্রায় সব লেনেই ভিড় করেন। এতে অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশও করতে পারেনি প্লাজায়।
সেতুটিতে সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতি ৬০ কিলোমিটার হলেও প্রথম দিনই ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বাইক চালিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে। এরপর সন্ধ্যায় দুই চাকার যানটি নিষিদ্ধ করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে সরকারের চিন্তা জানানো হয়নি, যদিও মাঝে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, সেতুতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও স্পিডগান বসানোর পর আবার বাইক চালু হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তবতা সবারই মেনে নেয়া উচিত। তাছাড়া কিছুদিন পর কালনা সেতুর উদ্বোধন হলে তখন নতুন বাস্তবতা দেখা যাবে। তখন এ পথে আরও দ্রুতবেগে গাড়ি চলবে এবং এখানে একটি অংশ কালনার কাছে গিয়ে থেমে যায়, ওই অংশতে আরও দ্রুতবেগে আসা-যাওয়া করবে। তখন বাস্তবতাসহ সবকিছু মিলিয়ে পরে আমরা চিন্তা করব।’