কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অন্যের সন্তানকে নিজের দাবি করে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটানো স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। আলোচিত এই শিক্ষক আলেয়া সালমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অভিযোগের সত্যতা মেলায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর (৩) ধারা মোতাবেক তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নিউজবাংলার অনুসন্ধানে আলেয়া সালমা নামের ওই শিক্ষকের ছুটি নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি সামনে এলে তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন এই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
আলেয়া সালমা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার স্বামী শফি আহমেদ স্বপন বগুড়ার গাবতলী উপজেলা কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়কও।
নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিবেশীর শিশুকে নিজের নবজাতক সন্তান দাবি করে চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন তিনি। থাকছেন স্বামীর সঙ্গে বগুড়ার গাবতলী কাগইল ইউনিয়নের বাড়িতে। ওই শিশুটি তাদের প্রতিবেশী আনিছুর রহমান পাশা ও শারমীন দম্পতির।
অনুসন্ধানের বিষয়টি জানার পর নিউজবাংলার প্রতিবেদকের সহকর্মীকে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ না করতে বলেন সালমা।
শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ছুটি নেয়ার বিষয়ে যারা ওই শিক্ষিককে সহযোগিতা করেছেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।’