ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির আবারও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চের তালিকায় রয়েছে আবেদনটি।
এ আবেদনের শুনানি বুধবার হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমরা জামিন চেয়ে আবেদনটি করেছি। আজকে আবেদনটির শুনানি হতে পারে।’
এর আগে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বাছিরকে জামিন দিলেও পরে সেটি বাতিল করে দেয়।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন এনামুল বাছির। অন্যদিকে তার সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে।
২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে দুদকের একটি দল মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন জামিনের আবেদন নাকচ করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুদক।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের নামে মামলা করে দুদক।
এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুদক গঠন হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।