বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটির প্রস্তাব দিয়েছে ভারত

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০৭

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পাটের ওপর এন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপের বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এটা দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন। রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। সে লক্ষ্যে ভারত যতটুকু সম্ভব কাজ করে যাচ্ছে।’

মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটির প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ট্রাকে করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য যাবে। সেখান থেকে ভারতের শক্তিশালী রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য যাবে মুম্বাইসহ বিভিন্ন সমুদ্র বন্দরে। সেখানে জাহাজে পণ্য বোঝাই হবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বন্দরের উদ্দেশ্যে।

দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। নয়া দিল্লিতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে মঙ্গলবার নয়া দিল্লির হায়দারাবাদ হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; ভারতের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের রেল মন্ত্রণালয় এই মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা বলেছি, বিষয়টি ভালো। আমরা এটা আলোচনা করব। এটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

‘এখন আমরা মোটামুটিভাবে বলতে পারি যে কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে আমরা ১৯৬৫ সালের আগে ফিরে গেছি, যেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল। সেখানে ভারতের রেল অনেকদূর এগিয়ে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তিনি মনে করেন যে ভারতের একার উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী হবে না, যদি প্রতিবেশী দেশগুলোর সমানভাবে উন্নয়ন না হয়।

‘জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই স্পিরিটে থাকলে কোনো সমস্যাই দীর্ঘদিন ঝুলে থাকবে না।

‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের সমস্যা সমাধান ও সাহায্য করার মানসিকতা ভারতের রয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন যে দারিদ্র্যই আমাদের সবেচেয়ে বড় শত্রু। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও সেটা বলতে দেখেছি সার্কের বৈঠকগুলোতে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা কমানোর জন্য, মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেয়ার জন্য, অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ট্রানজিট ও কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে অনেক অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়েছেন।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘পাটের ওপর এন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করা আছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এটা দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

‘রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। সে লক্ষ্যে ভারত যতটুকু সম্ভব কাজ করে যাচ্ছে।’

বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি এখনো আশ্বাসের পর্যায়েই রয়ে গেছে বলে জানান শাহরিয়ার আলম। এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা অ্যাসিওরেন্সের জায়গাতেই আছি এখনও। আমরা বিশ্বাস করি যে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেরি হলেও তা বাস্তবায়ন হবে।’

সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের অধীনে কুশিয়ার নদী থেকে বাংলাদেশের ১৫৩ কিউসেক পানি নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সফরে এটা একটা বড় প্রাপ্তি বলে আমরা মনে করি। ...এই পানিটার জন্য আমাদের কিছু দিয়ে যেতে হচ্ছে না।’

কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি পাওয়ার ফলে অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি ৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা যাবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান।

এ বিভাগের আরো খবর