গাজীপুরের টঙ্গীতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারীর দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার সকালে মিরাশপাড়া নদী বন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই নারী বাসায় ফিরে জাতীয় জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে আটক করে।
নির্যাতিতা নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- টঙ্গীর মিরাশপাড়া এলাকার জাবেদ মিয়ার ছেলে শাওন, নবীন হোসেনের ছেলে নাদিম হোসেন ও গাজী সালাউদ্দিনের ছেলে গাজী সাকিবুজ্জামান সিয়াম। তাদের বয়স ২১ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন জানান, অভিযুক্ত শাওনের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোমবার সকালে ওই নারীকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় শাওন। পরে শাওন ও তার সহযোগীরা সংঘবদ্ধভাবে তাকে ধর্ষণ করে।
কয়েক ঘণ্টা পর ওই নারী বাসায় ফিরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের পর মোবাইলে ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন।
নির্যাতিতা নারী জানান, অভিযুক্ত শাওন তার পূর্বপরিচিত। কয়েক মাস আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে মিরাশপাড়া এলাকার একটা ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। সোমবার সকালে ফোন করে শাওন তার সঙ্গে দেখা করতে চান। শাওনের কথামতো দেখা করতে গেলে তিনি তাকে একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানে ওড়না দিয়ে চোখ বেঁধে শাওনসহ তিনজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় শাওন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। কাউকে ঘটনা জানালে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় সে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. আশফুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।