ইমারজেন্সি পাওয়ার (মেটাল-টু-মেটাল থ্রাস্ট) ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের দায় পেয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সম্প্রতি বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড ও রেগুলেশন বিভাগের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মুকিত উল আলম মিয়ার সই করা চিঠিতে ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদকে এ ঘটনার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে কারিগরি ত্রুটির মুখে পড়ে বিমানের ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ। সে সময় উড়োজাহাজটিতে ৭১জন যাত্রী ছিলেন। উড়োজাহাজটি আকাশে থাকা অবস্থায় পাইলট ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদ ইমার্জেন্সি পাওয়ার ব্যবহার করেন।
সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি প্রয়োজনে পাইলটরা ইমারজেন্সি পাওয়ার বা জরুরি শক্তি প্রয়োগ করেন। কিন্তু এতে উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ঘটনার পর সেই উড়োজাহাজটির দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে পড়ে।
তবে নিয়ম অনুযায়ী, বিষয়টি নিজের লগবুকে লেখেননি পাইলট সাজিদ। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানেননি তিনি।
পরবর্তীতে এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ত্রুটি চিহ্নিত করে। এরপর বেশ কিছু সময় উড়োজাহাজটি গ্রাউন্ডেড ছিল। উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন মেরামতের জন্যও বিপুল অংকের টাকা গুনতে হয় বিমানকে।