গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে ঋণখেলাপিদের তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তথ্যের ভিত্তিতে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থা।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।
গত ২৪ জুলাই সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম আসনটি শূন্য ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করেন। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে শূন্য আসনটিতে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনি এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণখেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এই নির্বাচনে ঋণখেলাপিরা মনোনয়নপত্র জমা দিলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক থেকে ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
আরও বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন বেলা ৩টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, বাবা/মা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন।
নির্বাচন উপলক্ষে ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেয়া এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৩ সেপ্টেম্বর, বাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, আপিল ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ১৯-২১ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২২ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ হবে ১২ অক্টোবর।