ফরিদপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
সোমবার রাতে ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানার এসআই মাসুদ ফকির মামলাটি করেন।
মামলায় কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম খান, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, জেলা মহিলাদলের সভাপতি নাজরিন রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ভিপি ইউসুফ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথিল, মামুনুর রশীদ মামুনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রথম সারির ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ বাকিদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় পুলিশের ওপর হামলা করে চার-পাঁচ সদস্যকে আহত করা, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত রোববার বিকেলে শহরের কোর্ট চত্বরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে প্রথমে পুলিশের বাধা ও নেতাকর্মীদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নেয়ার চেষ্টার পর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের হামলায় কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ কমপক্ষে ৩৫ জন গুরুতর আহত হন বলে বিএনপির অভিযোগ।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় শহিদুল ইসলাম বাবুলকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, ‘রোববার বিকেলে আদালত চত্বরের সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট ছুড়ে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ির কাচও ভাঙা হয়। সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় মামলাটি হয়েছে।’
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘রোববার বিকেলে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার ভিডিও দেখে যাদের শনাক্ত করা গেছে, মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে। ভিডিওতে যাদের চেনা সম্ভব হয়নি, তাদের পরিচয় খোঁজা হচ্ছে।’
মামলার বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী বলেন, ‘বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে। এরপর পুলিশের প্রশ্রয়েই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে। এখন তারাই উল্টো আহতদের আসামি করে মামলা করেছে।’