বাড়ির সঙ্গেই পশুখাদ্যের গুদাম। সেখানে আবার উৎপাদনও হয়। তবে সব ভেজাল। এসব পশুখাদ্য পরে বাজারজাত করা হয় বিভিন্ন স্থানে। এভাবে অন্তত ৫ বছর ধরে ব্যবসা করছিলেন কারখানাটির মালিক।
গোপনে তথ্য পেয়ে ওই গুদাম ও কারখানায় অভিযান চালায় বগুড়ার জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় কারখানার মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে কারাখানাটিকেও সিলগালা করে দেয়া হয়।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।
তিনি জানান, কারখানাটির মালিক শামিম শেখ পেশায় ট্রাকচালক। এ কাজের পাশাপাশি বাড়ির ওই কারখানায় উৎপাদিত মাছ ও মুরগির খাবার ভেজাল করে বাজারজাত করেন।
ইফতেখারুল আলম রিজভী বলেন, ‘শামিম শেখের নিজের ট্রাক রয়েছে। বাড়ির সাথে গুদামে ভেজাল পশুখাদ্য তৈরি করে এগুলো নিজের ট্রাক ছাড়াও অন্যান্য মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন।’
তিনি জানান, প্রথমে নামিদামি প্রতিষ্ঠানের পশুখাদ্য কিনে আনেন শামীম। পরে সেগুলোর একটি বস্তা খুলে তাতে ভেজাল হিসেবে মাটি, খড়কুটো মেশাতেন। এভাবে অন্তত চার বস্তা পশুখাদ্য তৈরি করতেন তিনি। পরে এই ভেজাল পশুখাদ্য ওই কোম্পানির নামের বস্তায় তুলে বাজারজাত করা হতো। অভিযানের সময় আল নূর নামে একটি কোম্পানির বস্তা পাওয়া গেছে।
ইফতেখারুল আলম বলেন, ‘পশুখাদ্য তৈরি করতে প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এ ছাড়া অন্যান্য দপ্তরও রয়েছে। শামীমের কারখানায় এসবের কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর ধরে এভাবে ভেজাল খাদ্য তৈরি করে আসছিলেন তিনি।’
সহকারী পরিচালক আরও বলেন, এসব কারণে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই কারখানা সিলগালা করা হয়।
এ অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।