ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ২৫টি জেলা মঙ্গলবার এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
জাতীয় গ্রিডের একটি সঞ্চালন লাইনে গোলযোগের কারণে ব্ল্যাক আউটের এ ঘটনা ঘটে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশ বরিশাল অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান পলাশ।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে বরিশালের পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং ৯৫ মেগাওয়াট এজিকো পাওয়ার প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে বরিশালের ৬ জেলায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। সকাল ১০টা ৫৪ মিনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়।’
তবে উৎপাদনের শুরুতে সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ জন্য লোডশেডিং করতে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সোর্স লাইন আউট হওয়ায় বরিশালে ট্রিপ করে ব্ল্যাক আউট হয়েছে।’
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) অ.দা.মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সকাল ৯টা ৫এর দিকে বিদ্যুৎবিভ্রাট শুরু হয়। পরে ১০টার দিকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ লোড পেতে শুরু হয়। বেলা ৩টার দিকে সেই সমস্যা কেটে গেছে। এর মধ্যে ২১ জেলা আমাদের আওতাধীন। বাকিটা রাজশাহী অঞ্চলের আওতাধীন এলাকা।’
এ প্রসঙ্গে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপক এবিএম বদিরুদ্দোজা খান বলেন, ‘জাতীয় গ্রীডে যান্ত্রীক ত্রুটির কারণে এ সমস্যা হয়েছিল। ত্রুটি খুঁজতে কাজ চলছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে গোটা জেলার বিদ্যুৎ চলে যায়। জেলাতে থাকা নেসকোর ৫টি সাবস্টেশনই বন্ধ হয়ে যায়। ৯টা ৫২ মিনিটে শহরের বটতলা হাট সাবস্টেশন চালু হয়। এরপর একে একে অন্য স্টেশন চালু হয়।’
যেসব জেলায় ব্ল্যাক আউট হয়েছে
খুলনা বিভাগে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর এবং চুয়াডাঙ্গা।
ঢাকা বিভাগে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর এবং গোপালগঞ্জ।
বরিশাল বিভাগে বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা এবং ভোলা।
রাজশাহী বিভাগে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও নাটোর।