বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাই লেভেল ভিজিট সম্ভব ছিল না পররাষ্ট্রমন্ত্রীর: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৪:৪৪

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশ যান, তখন সব সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু তার সফরসঙ্গী হন না। এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেটা বলা হয়েছে সেটা হলো, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ সে কারণে তিনি যাননি। এটিই আমাকে ধরে নিতে হবে।’

অসুস্থ থাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে সঙ্গী হননি বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ থাকায় ভারতে সফরে যেতে পারেননি৷ কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করা যায়, কিন্তু এ রকম হাই লেভেল ভিজিট করা কঠিন বা সম্ভব নয়।’

সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশ যান, তখন সব সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু তার সফরসঙ্গী হন না। এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেটা বলা হয়েছে সেটা হলো, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ সে কারণে তিনি যাননি। এটিই আমাকে ধরে নিতে হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অসুস্থ থাকলে অফিস করছেন কীভাবে, জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করা যায়। কিন্তু এ রকম হাই লেভেল ভিজিট করা কঠিন বা সম্ভব নয়।

‘আমিও তো কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করি, কিন্তু সে অসুস্থ অবস্থায় আমার পক্ষে কি বিদেশ সফর করা সম্ভব, সম্ভব না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে সফর নির্ধারিত থাকার পরও তিনি যাননি।’

মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সম্প্রতি তুমুল আলোচিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে অসন্তোষের বিষয়টিও প্রকাশ পায়। সম্প্রতি তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতবর্ষের সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে বক্তব্য দেয়ার পর সেটি নিয়ে তুমুল সমালোচিত হন।

তবে শেখ হাসিনার ভারত সফর থেকে মন্ত্রী বাদ পড়ে যাবেন, এমনটি ধারণাতেও ছিল না। কারণ, সাধারণত রাষ্ট্রীয় সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর সরকারপ্রধানের সঙ্গেই থাকেন।

কিন্তু সোমবার শেখ হাসিনা দেড় শতাধিক সফরসঙ্গী নিয়ে ভারত যাত্রার সময় মোমেন যাননি। দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত নানা সমস্যার সমাধানে দুই দেশের সরকারের কী চিন্তা, এ নিয়ে যখন সংবাদ বা আলোচনা বেশি হওয়ার কথা, তখন চর্চাটা হচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর না যাওয়া।

আগের দিন মন্ত্রী যখন এই সফর নিয়ে ব্রিফিং করছিলেন, তখন তিনি জানিয়েছেন, তিনিও যাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশটিতে। তবে সেটির ব্যতিক্রম হলো কেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনাও করেন। বলেন, ‘গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম যে কথাটি বলেছেন, সেটা বিএনপি ও বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য প্রযোজ্য। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারতে সফরে গিয়েছিলেন, সফর থেকে ফেরার পর তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কী কথা হয়েছে।

‘তখন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আল্লাহ আমি ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম। যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যান, তারা আবার এসব কথা বলে। তারাই সব সময় ভারতকে সব দিয়েছেন কিছু আনেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ও রক্তের অক্ষরে লেখা। এই সরকারের আমলেই আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমাদের সরকার পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে।

‘আমাদের সরকার ভারত থেকে অনেক কিছু আদায় করেছে। প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। এর মধ্যে প্রথমবার ভারত থেকে ২০ পণ্য বাদে সকল পণ্যের ওপর ট্যারিফ সুবিধা আদায় করেছেন। ১৯৭৪ সালের মৈত্রী চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহলগুলো আমাদের হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি কয়েক দফা ক্ষমতায় ছিল, এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় ছিলেন, তারপর আরও জরুরি সরকার ক্ষমতায় ছিল, কেউ ছিটমহলের অধিকার আদায় করতে বা আনতে পারেনি। সেটা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সাথে আলোচনা করে আদায় করেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর