রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বিএমডিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রশীদকে ১ নম্বর আসামি করে সোমবার রাতে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী এটিএন নিউজের রাজশাহী প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব।
আব্দুর রশীদ ছাড়াও আরও ছয়জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন ভান্ডার রক্ষক মো. জীবন, নির্বাহী পরিচালকের দপ্তরের পিয়ন সেলিম, নির্বাহী পরিচালকের পিএ নুরুল ইসলাম, আনসার সদস্য এনামূল, পিয়ন ফারুক এবং ড্রাইভার আব্দুস সবুর। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী কর্মকর্তারা সকাল ৮টায় অফিসে আসেন কি না, সে বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে সোমবার সকালে বিএমডিএ কার্যালয়ে যান তারা। সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ কার্যালয়ে ঢোকেন। এ সময় সেখানে সাংবাদিকদের দেখে ক্ষুব্ধ হন তিনি। বিনা অনুমতিতে কেন প্রবেশ করেছে এবং কেন ছবি তুলছে- এ নিয়ে চড়াও হন।
একপর্যায়ে তিনি কর্মচারীদের হুকুম দেন সাংবাদিকদের মেরে বিএমডিএ চত্বর থেকে বের করে দেয়ার জন্য। এর পরই তারা দুই সংবাদকর্মীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন এবং ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ভেঙে ফেলেন।
হামলাকারীরা সাংবাদিকদের মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তাদের মারধর করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে হামলার ঘটনায় বিএমডিএর ভান্ডার রক্ষক মো. জীবন ও গাড়িচালক আব্দুস সবুরকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আব্দুর রশীদকে অপসারণের দাবি উঠলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএমডিএ চেয়ারম্যান আকতার জাহান। তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এরপর দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে আব্দুর রশীদকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।