রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে রাশিয়ান জাহাজ এমভি ইউনিউইজডম।
রূপপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৪২১ টন মেশিনারিজ নিয়ে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নোঙ্গর জাহাজটি আসে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, রাত ১০টার পর জাহাজটি থেকে পণ্য খালাসের কাজ শুরু হয়েছে। খালাসের পর এসব পণ্য সড়কপথে যাবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তৃতীয়বারের মতো রাশিয়া থেকে পণ্যবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে এসেছে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মুন্সী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘সরাসরি রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল্যবান বৈদ্যুতিক মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ এমভি ইউনিউইজডম সোমবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় চালান। এ চালানে রয়েছে ১৪২১ টনের ২৮০ প্যাকেজ মেশিনারি পণ্য।’
জাহাজটির শিপিং এজেন্ট ম্যাক শিপিংয়ের ম্যানেজার আবুল হাশেম শামীম বলেন, ‘সোমবার রাত থেকে শুরু করে এ পণ্য খালাসে সময় লাগবে চার দিন।’
তিনি জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে সবশেষ ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর রাশিয়া থেকে ‘এমভি ফেসকো আলিশ’ রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে এসেছিল। তারপর যুদ্ধ শুরুর সাড়ে ৯ মাস পর গত ১ আগস্ট প্রথম রাশিয়ান জাহাজ ‘এমভি কামিল্লা’ আসে এই বন্দরে। এরপর গত ৫ আগস্ট রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে ‘এমভি ড্রাগনবল’।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসা বলেন, ‘মোংলা বন্দরের বিদ্যমান অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার কারণেই দেশের বেশির ভাগ মেগা প্রকল্পের মালামাল এ বন্দর দিয়েই আমদানি ও পরিবহন হচ্ছে। এতে বন্দর ব্যবহারকারীদের যেমন অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে, তেমনি নিরাপদে দ্রুত স্বল্প সময়ে মালামাল প্রকল্প এলাকায় নিতে পারছেন। পদ্মা সতেুর কারণে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সব ব্যবসায়ীকে মোংলা বন্দরের প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।