রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বড় রাষ্ট্র হিসেবে ভারত অনেক কিছুই করতে পারে। এমনটি জানিয়েছেন সে দেশে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানের সময় পার্শ্ব বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত একটি বড় দেশ। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বড় রাষ্ট্র হিসেবে অনেক কিছুই করতে পারে।’
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ থেকে বাঁচতে সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শিশু-নারী আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো চাপ সৃষ্টি করছে। এমন অবস্থায় ভারতসহ যেসব দেশের মিয়ানমার সামরিক জান্তা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তাদের সংকট সমাধানে চাপ দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের এক দিন আগে এবং সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় এমনটি জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সফরের প্রথম দিনে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করকে আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি ও সহায়তার নতুন যুগ সৃষ্টির কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোদি-হাসিনা বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে মঙ্গলবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ভালো কিছু হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি এসে পৌঁছেছেন। তার এই সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বাণিজ্যসংক্রান্ত চুক্তি ছাড়াও কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে, তবে চুক্তি ও সমঝোতাসংক্রান্ত নির্ধারিত এজেন্ডা যাই থাক, এর বাইরেও অনেক বিষয় আলোচনা হবে।
কূটনৈতিক একটি সূত্র জানায়, আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে বৈঠক হওয়ার কথা, তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
২০১৯ সালের অক্টোবরে দিল্লি সফরের পর গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের অধিবেশনে গিয়ে সেখানে একান্ত বৈঠক করেছিলেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।