ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা কাজী জাফরউল্লাহ বাসভাড়ায় যে অনিয়ম দেখে সড়ক মন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলেন, এখনও সেই অনিয়মই চলছে।
মাঝে সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কঠোর হুঁশিয়ারি শুনেছেন যাত্রীরা। বাস মালিকদের পক্ষ থেকে যাত্রী ঠকানোর ওয়েবিল পদ্ধতি বন্ধ করে সরকারি নিয়মে কিলোমিটার হিসাব করে ভাড়া আদায়ের অঙ্গীকারের নামে প্রতারিত হয়েছে তারা।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, কিলোমিটার হিসাব করে নয়, একটি নির্ধারিত গন্তব্য পর পর ওয়েবিলের চেক হিসেবে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দেড় গুণ, দ্বিগুণ আদায় চলছে। ডিজেলের দর লিটারে পাঁচ টাকা কমার কারণে যাত্রীদের এক পয়সা লাভ না হলেও বাস মালিকদের পকেটে বাড়তি কিছু পয়সা ঢুকছে।
বাসভাড়ায় অনিয়মের বিষয়টি যেমন নতুন নয়, তেমনি অনিয়ম ঠেকাতে সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানার অকার্যকর পদ্ধতির ব্যবহারও নতুন নয়। একইভাবে নতুন নয় সড়ক মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি।
বেসরকারি বাস তো বটেই, সরকারি সংস্থা রাজউক পরিচালিত চক্রাকার বাসে সরকার নির্ধারিত হারের তিন গুণেরও বেশি ভাড়া আদায়ে বিআরটিএর চোখ বুজে থাকায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বলছেন, তাদের করের টাকায় একটি অপদার্থ সংস্থা পালা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট থেকে ডিজেলের দর লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানোর পর ঢাকায় বাসভাড়া ঠিক করা হয় কিলোমিটারপ্রতি আড়াই টাকা। এই টাকায় সর্বনিম্ন চার কিলোমিটার যাওয়ার কথা। কিন্তু এই চার কিলোমিটারের মধ্যে দুটি ওয়েবিলের চেক বসিয়ে আগে থেকেই সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা করে ২০ টাকা আদায় করা হচ্ছিল। ভাড়া বাড়ার পর তা ১৫ করে ৩০ টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। যাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য স্বল্প দূরত্বে এটা পারেনি শ্রমিকরা।
কিন্তু কোন পথের দূরত্ব কতটুকু, সেটি উল্লেখ করে যে চার্ট থাকার কথা, তা দেখা যাচ্ছে না বাসে, কোনো বাস কোনো চেকে সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকাও রাখছে, যা যাত্রী দুই কিলোমিটার যাক আর ছয় কিলোমিটার যাক।
২৯ আগস্ট তেলের দর লিটারে ৫ টাকা কমানোর দুই দিন পর রাজধানীতে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ঠিক করে দেয়া হয় ২ টাকা ৪৫ পয়সা। এই হিসাবে কমার কারণে রাজধানীতে বাসভাড়ায় কোনো প্রভাব এ কারণে পড়েনি যে, এক টাকা ভাড়া কমেছে ২০ কিলোমিটারে। কিন্তু রাজধানীতে ২০ কিলোমিটার গন্তব্যে বাসের রুট নেই বললেই চলে। থাকলেও এত দূরের যাত্রী থাকে না বললেই চলে। তারা চলে ছোট গন্তব্যে।
দুইবারই বাসভাড়া নির্ধারণের পর বিআরটিএর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারি। বলা হয়েছে, বাড়তি ভাড়া আদায় করা যাবে না। কিন্তু এসব হুঁশিয়ারির পরোয়াই করে না বাসগুলো।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাফরউল্লাহ। ছবি: কোলাজ নিউজবাংলা
কী দেখেছিলেন জাফরউল্লাহ
৬ আগস্ট বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণের পর যাত্রীরা যখন ঠকছিলেন তখন বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ চড়েন বাসে।
তিনি মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে বাসে উঠে নামেন বনানীর কাকলী মোড়ে। এই পথের দূরত্ব ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার। নির্ধারিত ভাড়া হয় ১৭ টাকা। কিন্তু আগে থেকে আদায় করা হতো ২০ টাকা। জাফরউল্লাহকে দিতে হয়েছে ৩০ টাকা।
পর দিন আওয়ামী লীগ নেতা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলেন সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে। অনুরোধ করেন ব্যবস্থা নেয়ার।
এরপর ৯ আগস্ট এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকগণ সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। তারাসহ বৈঠক করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বাস্তবে প্রয়োগ করবেন।
‘যারা সমন্বয়কৃত ভাড়ার বেশি আদায়ের চেষ্টা করছেন- আমাদের মনিটরিংয়ের আওতায় তারা রয়েছেন। তাই আবারও তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’
কিন্তু সরকার আসলে মাঠের পরিস্থিতি জানে কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গত ৩১ আগস্ট সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর একটি বক্তব্যে।
বাসভাড়া কিলোমিটারে ৫ পয়সা কমানোর দিন ওয়েবিল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়েবিলের বিষয়টা আগে যেটা ছিল গাড়িতে উঠলে ভাড়া দিতে হতো সেটা এখন নেই কিন্তু। তবে মালিক-শ্রমিকদের জন্য তারা সিস্টেম করেছে। কিন্তু ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। এটার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
বাস্তব পরিস্থিতি কী?
রাজধানীর অন্তত ১০টি রুটের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান রুটগুলোর মধ্যে ৬ নম্বর, ৭ ও ৮ নম্বর, তুরাগ, বলাকা ও গাজীপুর পরিবহন ছাড়া প্রায় সব বাসই যাত্রী তোলে আগের সেই ওয়েবিল পদ্ধতিতে।
মাঝেমঝ্যে বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেটরা যখনই বাস থামান, তখনই দেখা যাচ্ছে, আদায় হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ম্যাজিস্ট্রেটরা কখনও তিন হাজার, কখনও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু জরিমানা পরিশোধ করে এরপর আবার সেই বাড়তি আদায় চলতে থাকে।
কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে উত্তরাগামী পরিস্থান ও প্রজাপতি বাসে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ওয়েবিলে। মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর বাংলা কলেজ পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার দূরত্বে যাত্রী যেখানেই নামুক না কেন ভাড়া দিতে হবে ২৫ টাকা। অথচ সরকারি হিসাবে এই পথের ভাড়া আসে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা। ভাড়ায় এখন আর পয়সার ব্যবহার নেই বলে সেটা সর্বোচ্চ নেয়া সম্ভব ১৩ টাকা। কারণ আইন অনুযায়ী ভোক্তার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সেবামূল্যের কম নেয়া গেলেও বেশি নেয়া সম্ভব নয়।
এই হিসাবে এই গন্তব্যে একজন যাত্রীর কাছ থেকে বেশি নেয়া হচ্ছে ১২ টাকা। আর কিলোমিটারপ্রতি আড়াই টাকার বদলে ভাড়া পড়ছে ৪ টাকা ৭১ বয়সা। এই ২৫ টাকায় অবশ্য মিরপুর ১ ও ১০ নম্বরেও যাওয়া যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ভাড়ার হার কিছুটা কম পড়লেও তা সরকার নির্ধারিত হারের দেড়গুণেরও বেশি।
পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসে ভাড়া কাটার দায়িত্বে থাকা মো. ফয়সাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ওয়েবিলের হিসেবে ভাড়া নেই। মালিকরা আমাদের কাছ থেকে ওয়েবিলের হিসেবে ভাড়া নেয়। আসাদগেটের চেকে ধরে ১৩ টাকা। দারুসসামের চেকে ধরে ১২ টাক। দুই চেকের হিসেবে ২৫ টাকা। আমি স্বীকার করি চার্টের ভাড়া অনেক কম। কিন্তু কোম্পানি আমাদের ওয়েবিলে হিসেব করে।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি চার্টের ভাড়া নিতে যাই তাহলে আমরা বেতন থেকে কাটবে। মিরপুর-১১ নম্বরে একটা চেক আছে। ওইটা পার হলে আবার ৩০ টাকা।’
মোহাম্মদপুর থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়াটারগামী স্বাধীন পরিবনে মোহাম্মদপুর থেকে ইস্কাটনের ভাড়া নিচ্ছে ২৫ টাকা। একই ভাড়া নিচ্ছে মৌচাক গেলেও। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন ওয়েবিল।
একটি বাসে ভাড়া কাটার দায়িত্বে থাকা মো. আকাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ওয়েবিল উঠায় নাই মালিকে। মালিকে কিলোমিটারে ভাড়া নিতে বললে আমরা কিলোমিটারে ভাড়া নেব। আসাদ গেট ১৩ টাকার চেক ইস্কাটনে ১২ টাকার চেক।’
বাস মালিকদের সংগঠন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি গত ১১ আগস্ট থেকে ওয়েবিলের বদলে কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া কাটার ঘোষণা দিয়েছিল বটে। দুই চার দিন দুই একটি রুটে ভাড়া কাটাও হয়। কিন্তু কদিন পরে আবার এই পদ্ধতি ফিরে আসে। যাত্রীরা প্রশ্ন তুললে শ্রমিকরা বলতে থাকে, তারা বিআরটিএ থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছে।
১১ আগস্ট সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, তারা ঘোষণা দিয়েছেন বটে, তবে ওয়েবিল তুলে দিতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
এই বক্তব্যের ২৫ দিন পর এনায়েত স্বীকার করেছেন, ওয়েবিল বন্ধ হয়নি। তাহলে যাত্রীরা কি ঠকতেই থাকবে?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যারা ওয়েবিল চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি।’
কিন্তু ফলাফল তো পাচ্ছি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন প্রকল্প নিয়ে আসছি। ই টিকিটিং সিস্টেমে যাচ্ছি। তখন নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় বন্ধ হবে। ২০ তারিখ থেকে পাইলট রুট চালু করতে যাচ্ছি।’
বাসে ভাড়া আদায় করছেন এক কন্ডাক্টর। ফাইল ছবি
বিআরটিএ প্রধান ‘অসহায়’
বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সুরক্ষায় বিআরটিএর ব্যর্থতাসহ সব প্রশ্ন নিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার। তিনি বলেন, ‘যতবারই অপরাধ করছে ততবারই শাস্তি দিচ্ছি। কারা বারবার অপরাধ করছে আমরা তাদের পরিসংখ্যানও রাখছি।’
আপনারা যে জরিমানা করছেন, এভাবে তো কখনও সুফল মেলেনি, তাহলে অন্য কোনো চিন্তা কেন করছেন না- এমন প্রশ্নে বিআরটিএ প্রধান প্রকাশ করেন অসহায়ত্ব। তিনি বলেন, ‘পরিবহন মালিক সমিতি বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তারা সবাই যদি এ ব্যাপারে সিনসিয়ার না হয়, এটা কার্যকর করা কঠিন।’
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন- জবাবে তিনি বলেন, ‘এই কারণেই তো ডাম্পিংয়ে দিচ্ছি। ডাম্পিংয়ে দিলে তাদের আয় বন্ধ হয়ে যাবে।’ তবে এক সপ্তাহে কতগুলো বাস ডাম্পিংয়ে দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে কোনো সংখ্যা জানাতে পারেননি বিআরটিএ প্রধান। বলেন, ‘যারা একই অপরাধ করে তাদেরকে আমরা ডেকে…। আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
ওয়েবিলের প্রতারণার কথা জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, সবাই এভাবে ভাড়া নিচ্ছে না। দাবি করেন, তিনি নিজেও বের হয়েও তাই দেখেছেন।তিনি বলেন, ‘গত মিটিংয়ে ওরা (বাস মালিকরা) আবারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, একটা বাসেও ওয়েবিল নেবে না। বাস স্টাফরা মিথ্যা যাতে না বলতে পারে তাই তাদের চেকিং পদ্ধতি থাকবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। চার্ট দেখে ভাড়া দিতে হবে। আমি ভাড়া ৫০০ টাকা চাইলে আপনি দিয়ে দিবেন?’
বাসে তো চার্ট নাই- এই তথ্য জানালে বিআরটিএ চেয়ারম্যান কোন বাসে নাই, সেই বাসের নম্বর কত, ইত্যাদি তথ্য চেয়ে বসেন। বলেন, ‘আমাদের তথ্য দেন ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
নৈরাজ্যের সমাধান কী তবে
নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওয়েবিল আসলে মানুষের সঙ্গে তামাশা ছাড়া কিছু না। পৃথিবীর কোথাও এর ব্যবহার নাই। এটা বন্ধ করতেই হবে।’তিনি বলেন, ‘আমাদের সড়ক পরিবহন আইনেও আছে দৃশ্যমান জায়গায় ভাড়ার চার্ট ঝুলিয়ে রাখতে হবে। তারা ঝুলিয়ে রাখছে না এ কারনেই, তারা ভাড়ার নৈরাজ্য চালাবে।’
তাহলে সমাধান কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটার সমাধানের একটাই উপায়, স্টিয়ারিংটা থাকতে হবে সরকারের হাতে। অর্থাৎ কোম্পানির অধীনে বাস চলবে। ব্যবস্থাপনায় থাকবে সরকার। তখন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সরকারের দায়িত্ব একটা রুট তৈরি করে দেয়া। এখানে সবাইকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আসতে হবে।’
ঢাকা নগর পরিবহনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘একটা ব্যানারের আন্ডারে আমাদের বাসগুলি যেভাবে চলে, এই ব্যানারের মালিক শুধু ওই ব্যানারের মালিকই হচ্ছে। ওই ব্যানারে কাউকে বাস চালাতে হলে একটা চাঁদা দিয়ে চালাতে ছচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ব্যানারের মালিক লাভবান হচ্ছে। যারা ব্যবসা করছেন তারা তো নিজেদের পকেট থেকে টাকা দেবেন না। আর এই টাকা যাত্রীদের পকেট কেটেই নেয়া হচ্ছে। সমাধান একটাই রুটভিত্তিক কোম্পানি দিয়ে বাস চালাতে হবে।’
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, ‘এখন শ্রমিকের উপর মালিকের নিয়ন্ত্রণ নাই, আবার মালিকদের উপর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ নাই। নিয়ন্ত্রণহীনগণ পরিবহন ব্যবস্থাপনায় যেভাবে চলছে এখানে আমরা কাগজেকলমে ভাড়া ঠিকই নির্ধারণ করে দেব। কিন্তু আসলে বাস্তবায়ন হবে না।’